রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী (২৩) কে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টায় এক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারির নামে আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি শামসুল হকসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে, গত ৩১ মে মামলা করেন উপজেলার মাধবখালি ইউনিয়নের বাজিতা তৃতীয় খন্ড গ্রামের হাকিম বেপারীর মেয়ে। সে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। মামলার আসামি শামসুল হক একই ইউনিয়নের সৌজলিয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মামলার আইনজীবী জানান, পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো. মাইনুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এক সন্তানের জনক শামসুল হক বাজিতা তৃতীয়খণ্ড গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে এক বছর ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে সে রাজি না হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করেন। নালিশের জেরে গত ২৫ মে সকাল ৯টায় ভুক্তভোগীর ভাইকে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সড়কে একা পেয়ে শামসুল হকের নেতৃত্বে আরে দু-তিনজন মিলে মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ৩ দিন পরে ২৮ মে বিকেলে অভিযোগের বিষয় খোঁজ-খবর নিতে থানায় যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটনার দিন রাত ৮টায় বাজিটা চতুর্থ খন্ড এলাকায় শামসুল হকের নেতৃত্বে দু-তিনজনে পথ রোধ করে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে জোর জবরদস্তি করে পরনের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে এবং টেনে হিচরে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তা-ধস্তিতে মুখের গামছা সরে গেলে ডাক-চিৎকার দেয়। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে শামসুল হকসহ তারা পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী জানান, এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। মামলার বিষয়ে জানতে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি অভিযুক্ত শামসুল হকের মুঠোফোনে কল করলে ব্যস্ততার অজুহাতে ফোনটি কেটে দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক সূজন দাস বলেন, অফিসিয়ালভাবে মামলাটি পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। তদন্ত করে যথাসময়েই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।