Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মানহানির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন বাদি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ৭:৪৫ পিএম

মানহানির মামলায় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া সাংবাদিকদের গালিগালাজ এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মামলার বাদি। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে আদালতের ক্যান্টিনের সামনের বারান্দায় এই হুমকি দেন মামলার বাদি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকার।
ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আদালত ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় রংপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুর্ব নির্ধারিত তারিখে মঙ্গলবার মানহানীর মামলায় চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য্য ছিলো। এই মামলায় হাজিরা দিতে যান সাংবাদিকরা। তারা হলেন যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশ, কালের কন্ঠের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি শেখ মামুন-উর রশিদ, ভোরের দর্পণের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি একেএম শামছুল হক, দৈনিক জনসংকেতের সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি ক্বারী আবু জায়েদ খাঁন এবং সমাজ সেবক মাহাবুবার রহমান খাঁন। বিচারক না থাকায় মামলার পরের তারিখ ধার্য্য হয় আগামী ৩১ অক্টোবর। পরে সাংবাদিকরা ভবনের নীচে নেমে ক্যান্টিনের সামনে গেলে সেখানে থাকা বাদি পিআইও নুরুন্নবী সরকার তাদের দেখে অকথ্য ভাষায গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে বাদী সাংবাদিক পলাশের ওপর মারমুখি হন এবং হাত ও আঙ্গুল উচিয়ে বলেন, তোকে দেখে নিবো, তোকে এবার মজা দেখাবো। মিথ্যা নিউজ করে আমাকে হয়রানি করেছিস। পরে সেখানে উপস্থিত আইনজীবীসহ কোর্ট পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনার পর পলাশসহ সাংবাদিকরা রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
আইনজীবী ফরহাদ হোসেন আরও জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা আদালতকে সম্মান রেখে হাজিরা দিতে আসা সাংবাদিকদের যেভাবে গালিগালাজ এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তা শিষ্টাচার বিরোধী এবং ফৌজদারী আইনে অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু জিডি করা হয়েছে সেহেতু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
মামলার আইনজীবী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, যে সরকারি কর্মকর্তা আদালতের বারান্দায় আসামিদের এভাবে গালিগালাজ ও হুমকি দিতে পারে তার দ্বারা বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের। যে কোন সময় সাংবাদিকরা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক এবং এ বিষয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকাকালে পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির খবর প্রচার করে সাংবাদিকরা। পরে তার বিরুদ্ধে প্রচারিত খবর মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে মানহানীর অভিযোগ এনে ২০১৯ সালে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন পিআইও নুরুন্নবী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ