Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ২টি বাচ্চা, প্রসব হলো ১টি, প্রতিবাদে ভাংচুর সিলেট নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ৭:২১ পিএম

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন এক মহিলা রোগীর স্বজনরা। আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, নর্থ ইস্ট হাসপাতাল থেকে বাচ্চা চুরি হয়েছে তাদের। ভাঙচুরের খবর পেয়ে এসএমপির, দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার এক গর্ভবতী নারী অন্যত্র এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে সেই পরীক্ষায় ওই নারীর গর্ভে ২টি সন্তান আছে বলে জানা যায়। গত শনিবার (৩০ জুলাই) ওই নারীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাকে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তড়িগড়ি করে ওই নারীর অপারেশন করে ফেলেন। অপারেশনের পর স্বজনদের জানানো হয়- একটি বাচ্চা প্রসব হয়েছে। এসময় আরেকটি বাচ্চার বিষয়ে রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরতদের কাছে জানতে চান এবং আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট দেখান, কিন্তু কোনো ‘সন্তোষজনক কোন উত্তর পাননি স্বজনরা। ওই দিনই বিষয়টি স্বজনরা হাসপতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের দুদিনের সময় দেওয়া হয়।

কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং বিকাল ৩টার দিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেলে ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমার থানার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ- নর্থ ইস্ট থেকে তাদের একটি বাচ্চা চুরি হয়েছে এবং এর জন্য হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ দায়ী।
এ রিপোর্ট লেখা (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন দক্ষিণ সুরমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়েই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। ওই রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, পরীক্ষায় দুটি বাচ্চা আছে জানা গেলেও প্রসবের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে একটি। হাসপাতাল থেকে তাদের বাচ্চা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং কিছু গ্লাস ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন রোগীর স্বজনরা। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং বৈঠক চলছে দুপক্ষের মধ্যে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ