Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কবিরহাটে ৫ সন্তানের জননীকে নির্যাতন ও ছবি ধারণের অভিযোগ

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ৬:৩১ পিএম

কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (৪০) শারীরিক নির্যাতন ও নির্যাতনের ছবি ধারনের অভিযোগ ওঠেছে কয়েকজন দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগি নারী বাদি হয়ে কবিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম। এরআগে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৬জুলাই মঙ্গলবার রাতে কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কবিরহাটের ধানশালিক ইউনিয়নের চরমন্ডলিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নিজেদের স্থানীয় কোন ঠিকানা না থাকায় ওই বাড়ির একজনের ঘরে স্বামী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন ৫সন্তানের জননী। ৫সন্তানের মধ্যে দুইজনকে বিয়ে দেওয়ার পর গত ৫-৬মাস আগে প্রথম স্বামীর সহযোগিতায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন ওই নারী। এ নারী দুইজন স্বামী নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

গৃহবধূর অভিযোগ, গত ২৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। ঘরের ভিতরে তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় পাশ^বর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের কয়েকজন বখাটে তার ঘরের দরজায় লাথি মারতে থাকে। পরে তিনি দরজা খুলে দিলে তারা ভিতরে প্রবেশ করে দ্বিতীয় স্বামী কামালকে বেধড়ক মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। গৃহবধূর অভিযোগ নির্যাতনকারীরা নির্যাতনের পর তার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তার কিছু আপত্তিকর ছবি ধারণ করে।

কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি গত ২৬তারিখের হলেও এ ঘটনায় কেউ আমাদের অবগত করেনি। ঘটনাটি গত পহেলা আগস্ট সোমবার আমরা জানতে পারে। তাৎক্ষনিকভাবে আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের আটকের জন্য কাজ শুরু করি। মঙ্গলবার সকালে বসুরহাট বাজারের একটি ভাড়া বাসায় তাকে পাওয়া যায়। সে বাসায় দ্বিতীয় স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে উনি আমাদের জানিয়েছেন তাকে নির্যাতন করে ছবি নেওয়া হয়েছিল। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের পর ছবি ও ভিডিও ধারনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ