Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণখোলায় অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ ব্যাহত

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৪ এএম

শরণখোলায় অনাবৃষ্টির কারণে মৌসুমের শেষেও আমন চাষ করতে পারছে না কৃষক। এছাড়া কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে অধিকাংশ বীজতলা শুকিয়ে গেছে। ফলে এ বছরে আমন চাষ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে আমনের বীজতলাগুলি শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়া তীব্র তাপদাহে মাঠ শুকিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক সøুইসগেটের সাথে খালের কোন সংযোগ নাই। যার ফলে সøুইসগেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি ওঠানামা করতে পারছে না। এ অবস্থায় কৃষকরা আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের চাষি শরৎ মন্ডল, মান্নান হাওলাদার ও সালাম হাওলাদার জানান, পানির অভাবে তাদের বীজতলা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। বৃষ্টির অভাবে চাষ করতে না পারায় বীজও রোপন করা যাচ্ছে না।
সোনাতলা গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রতিবছর এমন সময় তাদের আমনের বীজ রোপন করা হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে তার এলাকায় অনাবৃষ্টিতে মাঠঘাট শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। অনেকেই বীজতলা করতে পারে নাই। দুই একজনে যা করছে পানির অভাবে এবং তীব্র তাপদাহে তা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী, বকুলতলা, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিন সাউথখালী, উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামেও।
খুড়িয়াখালীর ইউপি সদস্য মো. বাচ্ছু মুন্সি জানান, তার এলাকায় পাউবোর একটি সøুইসগেট থাকলেও, তা অচল থাকার কারণে নদী থেকে পানি এনেও চাষ করা যাচ্ছে না। তাই এবছর তাদের আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু জানান, তার ইউনিয়ন অন্য এলাকার চেয়ে একটু উঁচু এবং লবনাক্ত। তাই বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এবারে বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষকের চাষাবাদে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, এ এলাকার মানুষের যেহেতু নিজস্ব কোন সেচ ব্যবস্থা নেই, এছাড়া মাটিতে কিছুটা লবনাক্ততা রয়েছে। তাই বৃষ্টির উপর নির্ভর করা ছাড়া কৃষকের আর কোন উপায় নাই। তবে অনাবৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে রবিশষ্য সরিষা অথবা স্বল্প জীবনকালের ধান চাষের আগ্রহ সৃষ্টিতে চেষ্টা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ