বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রতিদিন সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ধরা পড়া ইলিশের আকারও বেশ বড়। জেলেরা হাসিমুখে ট্রলার ভরা ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরলেও বাজারে ক্রেতাদের মুখে হাসি নেই। বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি কিন্তু দাম নাগালের বাইরে। দুর্মূল্যের বাজারে গোটা ইলিশ কেনা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই কেটে রাখা ইলিশ গ্রাম হিসেবে কিনছেন ক্রেতারা। প্রতি গ্রাম ইলিশ এক টাকা। অর্থাৎ একজন ক্রেতা কেটে রাখা দুইশ গ্রাম ইলিশ কিনলে, বিক্রেতাকে তিনি দিচ্ছেন দুইশ টাকা। চারশ গ্রাম কিনলে দিচ্ছেন চারশ টাকা। এভাবেই স্বল্প সামর্থ্যরে ক্রেতারা ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে ইলিশের মুখরোচক স্বাদ গ্রহণ করছেন।
সূত্র জানায়, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত ২২ জুলাই রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা মাছ শিকারে সাগরে নেমেছে। প্রথম দু’দিন তেমন ইলিশ ধরা না পড়লেও তারপর থেকেই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ধরা পড়া ইলিশের আকার এবার বেশ বড়। প্রায়ই দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ জালে আটকাচ্ছে। ইলিশ ধরার পর বরফ দিয়ে তা ২/৩ দিন পর ট্রলার ভরে ঘাটে ফিরছে জেলেরা। সাগর ফেরত খুলনার দাকোপ উপজেলার জেলে আমিনুল হক, রেজাউল, সাব্বির জানান, সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। গরমের কারণে প্রথম দু’দিন ইলিশ কম ধরা পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ইলিশ আরো বেশি পরিমাণে ধরা পড়বে। বৃষ্টির সাথে ইলিশের ঝাঁক ধরে চলার সম্পর্ক রয়েছে।
গতকাল সোমবার ভোরে খুলনার রূপসা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রলার ভরে সাগর থেকে ইলিশ ফিরছে। এফবি মায়ের আশীর্বাদ ট্রলারের মালিক হুমায়ুন কবির জানান, ১১ জন জেলে নিয়ে তার ট্রলার গত শুক্রবার সাগরে গিয়েছিল, গতকাল ফিরেছে। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার পিস ইলিশ ধরা পড়েছে। সামনের সপ্তাহে আরো বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে আমরা আশা করছি।
এফবি জান্নাতি ট্রলারের জেলেরা জানান, গরমে ইলিশ সাগরের গভীরে চলে গিয়েছিল। এখন ফিরতে শুরু করেছে। আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় মাছের ঝাঁকের অবস্থান আমরা আগে থেকে নির্ণয় করতে পারি না। অনুমানের উপর নির্ভর করে আমরা জাল ফেলি। পক্ষান্তরে ভারতীয় ট্রলারে অনেক যন্ত্রপাতি থাকে। তাই তারা মাছ বেশি পায়।
এদিকে, খুলনার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। কেজি সাইজের ইলিশ ১০০০ টাকা। দেড় কেজির ইলিশ দেড় হাজার টাকা। এতো দাম দিয়ে ইলিশ কেনা অনেক ক্রেতার পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই ইলিশ কেটে কেটে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও স্বল্প পরিমানে হলেও স্বল্প মূল্যে ইলিশের স্বাদ মুখে নিচ্ছেন। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির বিক্রেতা কাটা মাছের কেজি এক হাজার টাকা রাখলেও তার মধ্যে ৭০০/৮০০ গ্রামের ইলিশের টুকরোও মিশিয়ে দিচ্ছেন।
নগরীর সান্ধ্য বাজারে গতকাল সোমবার বিকেলে আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার টাকায়। সান্ধ্যবাজারের মাছ ব্যবসায়ী জামিরুল জানান, পাইকারি বাজারে ইলিশ প্রতি কেজি ৭/৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা সামান্য লাভে তা বাজারে বিক্রি করছি।
অন্যদিকে, খুলনার নতুন বাজার ঘাটের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, আমরা ‘পোণ’ হিসেবে ইলিশ বিক্রি করি। এক পোণ অর্থাৎ ৮০ পিস। বিভিন্ন আকারের ইলিশ গড়ে বিক্রি হয়। হাত বদল হয়ে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রির দায় আমাদের নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।