বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে আরও গতি আসবে। আশা করা হচ্ছে ডিসেম্বরেই এটি চালু করা সম্ভব হবে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল রূপসা রেল সেতু নির্মাণ। সেটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন এর উপর রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজ বাকি আছে। সিগনালিং এর কাজ চলমান। তিন চার মাসের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হবে। কয়েকটি স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আর কয়েকটির কাজ বাকি আছে।
তিনি আরো বলেন, রেল সেতুটি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আগামী বছর জুনে চালু হলে ট্রেনে কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। কাজেই তখন থেকেই আমরা এই লাইনটির উপকার পাব। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি সহ কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) নির্মাণাধীন খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় রূপসা রেল সেতু এলাকায় তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারসহ প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এটি ৬৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ হচ্ছে। এই রেলপথ নির্মিত হলে মোংলা পোর্টে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন অঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটক আকৃষ্ট হবে। ফলে রেলওয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির একটা সুযোগ তৈরি হবে। জুলাই মাস পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের ভৌত অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।