Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশীয় তহবিলের ১শ কোটি টাকা ব্যায়ে বরিশালÑবাউফলÑগলাচিপা সড়কের নেহালগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজ শেষ হচ্ছে জুনে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বরিশালÑবাউফল-কালাইয়া-দশমিনা হয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা পর্যন্ত সড়কের রাংগামাটি নদীর ওপর প্রায় ১শ কোটি টাকার দেশীয় তহবিলে ২ হাজার ৫৪০ ফুট দীর্ঘ ‘নেহালগঞ্জ সেতু’র নির্মান কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করছে। ইতোমধ্যে সেতুটির ১ হাজার ফুট সংযোগ সড়কের মাটির কাজ ছাড়াও নদীর মধ্যবর্তি অংশে সেতুটির স্প্যানের দু পাশের প্রী-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার-এর নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নকশা সংশোধন করে মধ্যবর্তি অংশে স্টীল টাইপ স্ট্রাকচারের জন্য দরপত্র আহবান করেছে বরিশাল সড়ক সার্কেল।

সেতুটির ১৩টি স্প্যানের ১২টি পিয়ার ছাড়াও দুটি এবাটমেন্ট-এর নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকার মধ্যে নদীর মধ্যবর্তি অংশটির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে নকশা সংশোধন করে ইস্পাতের অবকাঠমো নির্মান করতে হচ্ছে। সেতুটির নির্মান কাজ শুরুর আগে বিআইব্লিউটিএ নকশায় অনাপত্তি দেয়ার পরেও নির্মাকাজের মধ্যবর্তি সময়ে আপত্তির মুখে গত কয়েক বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকার পরে দুটি দপ্তরের মধ্যে চিঠি চলাচালি ও একাধিক বৈঠকের পরে সমঝোতার আলোকে সম্প্রতি মধ্যবর্তি স্প্যানটি মূল নকশার চেয়েও যতটা সম্ভব উচু করে নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ঐ সড়কেরই গোমা সেতুটির ক্ষেত্রেও। সেখানেও দীর্ঘ টানা পোড়েনের পরে মধ্যবর্তি স্প্যানটি অপক্ষোকৃত উচ্চতায় স্ট্রিল স্ট্রাকচারে নির্মানের সিদ্ধান্তের পরে নকশা চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উুভয় নেসতুর ক্ষেতেই নির্মনি ব্যায় বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমঝোতার আলোকে নেহালগঞ্জ সেতুটির মধ্যবর্তি ১শ ফুটের স্প্যানটিকে ইস্পাতের অবকাঠামোতে নির্মান করতে গিয়ে নকশার পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়েছে। ৩৬ ফুট প্রসস্ত এ সেতুটিতে যানবাহন চলাচলের জন্য মূল অংশটি ২৪ ফুট বলে জানিয়েছেন বরিশাল সড়ক সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু কুমার দেবনাথ।
সম্পূর্ণ দেশীয় ১শ কোটি টাকার তহবিলে নির্মানাধীন এ সেতুটি আগামী বছরের জুনের মধ্যে চালু হলে বরিশালের সাথে পটুয়াখালীর বাউফল হয়ে সুদুর গলাচিপা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ অনেকটাই সহজতর হবে। চলতি মাসের মধ্যে মধ্যবর্তি স্টিল স্ট্্রাকচারের দরপ্রস্তাব গ্রহনের পরে আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে নির্মান প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হলে পরবর্তি এক বছরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ