বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কেন্দুয়া উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তোফায়েল আহমেদের উপর শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে রুপালী ব্যাংক ভবনের নিচ তলায় এক অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা রড দিয়ে প্রচন্ড মারধর করলে সে গুরুতর আহত হয়ে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর উপজেলা সদর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তোফায়েল আহমেদ কেন্দুয়া পৌরসভার কান্দিউড়া গ্রামের একজন বাসিন্দা।
তোফায়েলের ভাই তুষার জানান, তার ভাই তোফায়েল আহমেদ ৩০শে জুলাই শনিবার রাতে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই স্কুলের খেলার মাঠ সংলগ্ন রুপালী ব্যাংক ভবনের নিচ তলায় সে (তোফায়েল) ডাক্তার নাজমুস সাকিবের চেম্বারে অবস্থান করছিলেন। এসময় হঠাৎ কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দুয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আসাদুল হক ভুইঁয়ার আপন ভাতিজা বাবু ভিকটিম তোফায়েলকে ঢেকে নিয়ে রড দ্বারা প্রচন্ড মারধর করে । এতে তোফায়েলের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে এবং ডান পা গুরুতর যখম হয়েছে। তোফায়েলকে মেরে জখম করে দুটি মোবাইল নিয়ে যায় তারা। ঘটনার সময় অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলো কিন্তু আসাদুল হক ভুইঁয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস দেখায়নি।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং রাতেই চিকিৎসক ঢাকা রেফার্ড করেন। বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তোফায়েল আহমেদ।
এ দিকে আসাদুল হক ভুইঁয়ার ভাতিজা বাবু কেন্দুয়া উপজেলা যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। এছাড়াও আরেক ভাতিজা শাফিম কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। এসব বিষয় নিয়ে কেন্দুয়ার রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা রয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল ভূইয়ার ভাতিজা ও সাবেক মেয়র আব্দুল হক ভূইয়ার পূত্র রাতুল হক বাবু জানান, ‘তোফায়েলের উপর তিনি হামলা করেছেন এটা ভুয়া কথা। এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি ’।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, এ ঘটনার পর তোফায়েলকে হাসপাতালে দেখতে যাই। ভিকটিম হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা যাবেনা। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।