Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মীপুরে ফের বন্ধ মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ১২:২২ এএম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতিতে বালু সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দ্বিতীয় বারের মত মেঘনার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে মার্চের শেষে কাজটি বন্ধ করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতিতে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মেঘনার ভাঙনে এই দুই উপজেলা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে। মেঘনার তাণ্ডবলীলা-জলাবদ্ধতা ও অস্বাভাবিক জোয়ারে বিপর্যস্ত কমলনগর ও রামগতি উপজেলার লাখো মানুষ। ভাঙনের ভয়াবহতায় এখানকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই।


লক্ষ্মীপুর পাউবো সূূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে লক্ষ্মীপুুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার বড়খেরী বুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুুমোদন দেওয়া হয়। এতে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্র্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। ওই বছরের আগস্ট মাসে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো কাজ ৯৯ প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বালু সংকটের অজুহাত দেখিয়ে মেঘনার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়া কাজটি মার্চের শেষের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মে মাসের শেষের দিকে আবারো প্রকল্পটির কাজ শুরু হলে জুন মাসের ৩০ তারিখে কাজটি আবারো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে নেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের শ্রমিক। চোখে পড়েনি কোনো কর্মযজ্ঞ। এদিকে ভাঙনের তীব্রতা প্রকট আকার ধারন করেছে। মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে তছনছ হচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। চলতি বর্ষায় বাঁধ নির্মাণের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হওয়ার পথে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন রোধে দ্রুত নদীর তীর সংরক্ষণে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন মেঘনার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

চরআব্দুল্লার ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মনজু ও চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার সাইফুল্লাহ বলেন, নদী ভাঙনে তাদের ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি জনপদ বিলীন হয়ে গেছে। নদী বাঁধের প্রকল্প নিয়ে চলছে নয় ছয়। একবার শুরু করে আবার বন্ধ করে। বিশাল এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে চলছে সম্পুর্ন খামখেয়ালিপনা।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা চাঁদপুর থেকে বালু এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ করতো। নদীতে বর্তমানে তীব্র স্রোতের কারণে বালু ড্যাম্পিং করা যাচ্ছেনা। আবার বালুরও সংকট রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ