Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধ থাকে ১২ ঘণ্টা, ঝুঁকিতে ট্রেন চলাচলে আতঙ্কে স্থানীয়রা

কুলাউড়ার বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন

মো. মানজুরুল হক, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট-আখাউড়া রেলরুটের বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন সিগন্যালবিহীন ও  লোকবলের অভাবে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রমের মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বন্ধ থাকে। পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে চলছেন এলাকার স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ সমস্যা নিয়ে স্থানীয়রা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের আওতাধীন প্রচীনতম বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে স্টেশনটির স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। তিন মাস থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই কোনো দায়িত্বশীল না থাকায় বন্ধ থাকে কার্যক্রম। এই স্টেশন দিয়ে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামের আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ও ডেমু, সুরমা মেইল, কুশিয়ারা ও জালালাবাদ ট্রেনগুলো সন্ধ্যা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সিগন্যাল ও লাইন ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। আরো জানা যায়, এই স্টেশনের দায়িত্বরত মাস্টার হাবিবুর রহমান গত ৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করায় সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান ও ইউনুছ আলী (পয়েন্টস ম্যান) দিয়ে কোনোরকম ১২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু থাকে। এদিকে সন্ধ্যা হলেই স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ রেলরুটের অন্যান্ন ট্রেনগুলো কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে দাঁড় করিয়ে রেখে ক্রসিং দেয়া হয়। এজন্য প্রতিটি ট্রেনের প্রায় ৪০ মিনিট যাত্রা বিলম্ব হওয়ায় সকল ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানা যায়। অপরদিকে স্টেশনটি বাজারের পাশর্^বর্তী ও সাধারণ চলাচলের রাস্তা থাকায় স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্টেশন এলাকা। তার কারণ হচ্ছে সিগন্যালবিহীন স্টেশন আবার তাও কোনো দায়িত্বশীল নেই! যে কোনো সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হতে পারে স্থানীয় পথচারীদের। স্থানীয় বরমচাল ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘একটি স্টেশনে যদি স্টেশন মাস্টার না থাকে অর্থাৎ যদি স্টেশন বন্ধ থাকে তাহলে মাঝখানের স্টেশনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে ট্রেন ক্রসিংয়ে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। যাত্রীদের চাপ বাড়ে আশপাশের স্টেশনে। এতে করে দেখা দেয় শিডিউল বিপর্যয়। স্টেশনটির শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দিয়ে জনস্বার্থে কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। এদিকে কুলাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকারকে স্থানীয়রা বার বার অবগত করলে তিনি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অফিসিয়াল চিঠি দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সিলেট-আখাউড়া সেকশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআইসি) নুরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রেলওয়ের ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী স্টেশনটির পুরো কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ