Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মির্জাপুরে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মির্জাপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ড নিধারিত ফি’র বাইরে কোচিং ফিসহ নানা অজুহাতে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে দরিদ্র অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে ধার-দেনা ও এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফরম পূরণের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৫৩টি মাধ্যমিক ও ১৪টি দাখিল মাদরাসা থেকে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ফরম পূরণ করতে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৯শ’ ও মানবিক বিভাগে ১৮শ’ টাকা নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্ত অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ে পরিচালনা পষিদের সভাপতি ও সদস্যগণ মিলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ কোচিং করানোসহ নানা অজুহাতে অতিরক্ত টাকা আদায় করছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান ফরম পূরণ বাবদ তাদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ এনে বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের চার অভিভাবক সদস্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভাতগ্রাম কে আর এস ইনস্টিটিউশন, হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাশতৈল মুনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে একইভাবে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দরিদ্র অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে ধার-দেনা ও এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফরম পূরণের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন মল্লিক ও ভাদগ্রাম কে আর এস ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈষ্ণমের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন ফরম পূরণ বাবদ ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোচিং ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২শ’ টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করেন তারা। একই ভাবে বোর্ড ফি’র বাইরে কোচিং ফি বাবদ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আলতাব হোসেন। ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তদন্ত শেষে সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ