Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তিন দিনের মাথায় বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

৫০ শ্রমিক করোনা আক্রান্ত

দিনাজপুর অফিস ও ফুলবাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল শনিবার দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। ফেজ পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৭ জুলাই থেকে নতুনভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছিল। দুই দফায় করোনা পরীক্ষায় চায়না ও দেশীয় শ্রমিকদের মধ্যে ৫০ শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হলে ভূগর্ভে কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিককে বের করে আনা হয়। তবে এর মধ্যে যন্ত্রপাতি এডজাস্টমেন্টের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে। কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বড়পুুুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, বড়পুুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১০নং ফেজ পরিত্যক্ত হওয়ার দীর্ঘ ৮৭ দিন পর নতুন ফেজ ১৩০৬নং থেকে গত ২৭ জুলাই প্রাথমিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। কয়লা উত্তোলনের পাশাপাশি নতুন ফেজে মেশিনারিজ এডজাস্টমেন্ট-এর কাজ চলতে থাকে। এর মধ্যে গত ২৭ তারিখে ভূগর্ভে কর্মরত ১৪৩ শ্রমিকের করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়, পজিটিভ হয় ১৬ জন। পরদিন আরো ৩০৫ জনের টেস্টে ৩৪ জনের পজিটিভ হয়। ব্যাপকভাবে করোনা পজেটিভ দেখা দেওয়ায় কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বলে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম। ফলে এক ফ্লোরে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বের করে দেওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ চায়না শ্রমিক কাজ থেকে বিরত আছে। ফলে তিন দিনের মাথায় কয়লা উত্তোলন আবারো বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভূগর্ভস্থ ফেজে মেশিন এডজাস্টমেন্ট কাজ অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ মে খনির ১৩১০নং ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে, তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬নং ফেজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত ২৭ জুলাই প্রাথমিকভাবে উত্তোলন শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে তা গতকালথকে আবারো সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ