বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রিক্তা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) শিক্ষার্থীর বাবা লিয়াকত জোয়ারদার বাদি হয়ে হত্যা মামলা করলে মতিহার থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ।
নিহত রিক্তা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় গ্রেফতার রিক্তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে। তারা দু’জন একই ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের ধরমপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীকে স্বামী ও তার বন্ধুরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর, আইন বিভাগের সভাপতিসহ রিক্তার ১৫-১৬ জন সহপাঠী হাসপাতালে উপস্থিন হন।
পরবর্তী কর্তব্য চিকিৎসক রাবির ছাত্র-উপদেষ্টাকে জানান হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই ছাত্রী মারা যান। পরবর্তীতে মতিহার থানার ওসি রিক্তার স্বামীসহ এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাদেরকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে রিক্তার পরিবার রাজশাহী আসে এবং রিক্তার বাবা বাদি হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে রিক্তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গ্রেফতারের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মেয়েটার আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক। তাই রহস্য উদঘাটনের জন্য ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছি। মরদেহ তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রিক্তার বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। ৩০২ ধারায় আমরা একটি হত্যা মামলা রুজু করেছি। রিক্তার বাবা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ড তার জামাই সংঘটিত করেছে। তাই তার জামাইকে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি।
তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতে এখনও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এইপুলিশ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।