Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোকসায় খেয়াঘাট বন্ধ ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে নিয়ে রেষারেষিতে বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনপাড়া গড়াই নদী ঘাট বন্ধ থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জেলা পরিষদেও নিয়ন্ত্রণাধীন বামনপাড়া খেয়াঘাট প্রায় ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত খেয়া পারাপারের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। এ বিষয় নিয়ে খোকসা থানায় বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বর্তমান ইজারাদার সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম।

বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদট বামন পাড়া গড়াই নদী খেয়া ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খেয়া পারাপার বন্ধ। পারাপারের বাঁশের চরাট ডুবে আছে। যে খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নদী পার হয়ে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞে অংশ নিতো, কোলাহল পূর্ণ সেই ঘাটটিতে বিরাজ করছে নীরবতা। এ সময় স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ২০২২- ২৩ অর্থবছরে মনিরুল ইসলাম বামন পাড়া খেয়াঘাট ইজারা পেয়ে গত ১ জুলাই থেকে বুঝে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। মনিরুল খেয়াঘাট বুঝে নেবার পর থেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রাতে নৌকার তলা ফুটো করে নৌকা ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে দুবার এবং ইজারাদারকে মারপিট করা হয়েছে।

স্থানীরা জানান, বামনপাড়া খেয়াঘাটটি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ দুইটি জেলার যোগাযোগের সহজ পথ। এই ঘাট পার হয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষ সহজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে শৈলকূপা থানার অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ইয়াকুব আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চাঁদট এমবি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসায় আসেন এই খেয়াঘাট দিয়ে। খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা ৫/৭ কিলোমিটার ঘুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসলেও শিক্ষার্থীরা আসতে পারছেনা। পাশাপাশি খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী শৈলকূপা থানার কাতলাগাড়ি ডিগ্রি কলেজ ও কাতলাগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন প্রচণ্ড বিপাকে। ৫/৭ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্য পৌঁছোতে তাদের যাতায়াতের ব্যয় বেড়ে গেলেও কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারছেনা পণ্য।

ভুক্তভোগী ইজারাদার সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, বামনপাড়া খেয়াঘাট গত ১ জুলাই থেকে বুঝে নেবার পর থেকেই পূর্বের ইজারাদার ফারুক নানাভাবে তাকে হয়রানি করছে। রাতে নৌকা ভাঙচুর করার সময় ফারুক ও এলাহি নামের দুজনকে তারা আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ এবং থানা থেকে ফিরে এসেই নৌকা ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে ফারুক ও তার দলবল। এ বিষয়ে খোকসা থানায় মামলা হয়েছে।

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, খেয়াঘাট জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত বসবো জনভোগান্তি নিরসনের জন্য। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা যারা আছেন তাদের মাধ্যমে বসে দ্রুত সমাধান করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ