Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চক্রের মাসে আয় ৫ লাখ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

সৈয়দপুরের রেললাইন, ফুটপাত ছাড়াও মূল রাস্তার একটি অংশ দখল করে গড়ে ওঠেছে সারি সারি ভ্রাম্যমাণ দোকান। দোকানগুলোতে নেই কোনো বিদ্যুৎ মিটার। অথচ সন্ধ্যা নামলেই শত শত বাতি জ্বলে ওঠে দোকান গুলোতে। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে সরাসরি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে লাইট জ্বালানো হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা গেছে সৈয়দপুরে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই রমরমা অবৈধ কারবার। যার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী চক্র। অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এতে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

জানা যায়, শহরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন দুই নম্বর রেলওয়ে গুমটি থেকে এক নম্বর রেলওয়ে গুমটির বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর পর্যন্ত রেললাইনের ওপর ও দু’পাশে, সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘরের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত, রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে তোলা প্রায় পাঁচশ ভ্রাম্যমান দোকান। প্রতিটি দোকানেই বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে । অবৈধ সংযোগের বিনিময়ে ফুটপাতের প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে নিচ্ছে। এতে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আদায় হয়। যার একটি অংশ চলে যায় বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কিছু অসাধু ব্যক্তি, স্থানীয় একটি ক্লাবের কয়েকজন সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার পকেটে। অবৈধ সংযোগ নিতে তাঁরা স্থানীয় হকারদের ধোঁকাও দিচ্ছেন।

গত শুক্রবার সরেজমিন দুই নম্বর রেলওয়ে গুমটি ও পোস্ট অফিসের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, রেললাইনে ওপর পুরারতন কাপড়ের দোকান, সড়কের ওপর ফল ও শরবতের দোকানগুলোত ক্রেতা আকর্ষণ করতে আলোকিত করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোনো বিদ্যুতের মিটারের দেখা নেই। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সরাসরি সংযোগ তার ঝুলছে প্রতিটি দোকানে। সেই সংযোগে দোকানগুলোতে বাতি জ্বলছে।

দোকানদাররা জানান, সাধারণ একটা লাইটের জন্য প্রতিদিন ৭০ টাকা করে দিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেললাইনের ওপরের এক কাপড় দোকানদার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। কোনোরকমে পেট চালাই। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে অর্থের বিনিময়ে সংযোগ নিই। নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সৈয়দপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমি কর্মস্থলে নবাগত, তাই এসব সংযোগের ব্যাপারে আমার জানা নেই। অবৈধ এসব সংযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের যদি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অবৈধ সব বৈদ্যুতিক সংযোগ কাটার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ