Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিলমারীতে এডিপি প্রকল্প কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ এএম

২০২১-২২ অর্থ বছরে এডিপি প্রকল্পের অধীনে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চিলমারীতে ১ কোটি ১৬ লাখ ছাড়াও বিশেষ রবাদ্দ দেয়া হয় ২০ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে উক্ত প্রকল্পের অধীনে বেশকিছু প্রকল্প দেখিয়ে টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নামমাত্র কাজ করে কর্তৃপক্ষের যোগসাজগে সিংহভাগ টাকাই লুটপাট করেছে। চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মুদাফৎ থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া । নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে করা হয়েছে লুটপাট। এছাড়াও চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি ভবনে এখনো ২য় তলায় লাগানো হয়নি নিরাপত্তা গ্রিল। চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিক ইকবাল বলেন, আমার বিদ্যালয়ে বরাদ্দের ৩০ ভাগও কাজ হয়নি। তিনি বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর কথামতো প্রত্যায়ন দিয়ে বিপাকে পড়েছি। তবে প্রত্যায়নের বিষয় প্রধান শিক্ষকের সাথে কোন কথা হয়নি বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী। মেহের আলী হাজির বাড়ি থেকে শিশু কল্যাণ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কে সিসিকরণে বরাদ্দ দেয়া হয় ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা। কাজটি পান মেসার্স সোমা ট্রেডার্স। একই রাস্তায় আরো ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কাজটি শেষ হয় অনিয়মের মধ্য দিয়ে। বেগম জোবেদা হাফিজিয়া বালিকা মাদরাসা থেকে গওছলের বাড়ি পর্যন্ত সড়কে সিসিকরণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। কাজটি পান হামিদ মোল্লাহ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর সংস্কারের জন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সংস্কার করা হয়নি। রমনা ইউনিয়নের সরকারপাড়া মোড় হতে আমিনুলের দোকান হয়ে ভুট্টুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসিকরণ ও প্যালাসাইটিং তৈরিতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। কাজটি পান মেসার্স জুইজিম। জুন মাস পেরিয়ে গেলেও সরেজমিনে কাজের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে সিসি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার, মেরামত, ড্রেন, টয়লেটের জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও নামে মাত্র কাজ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলেন, এসও (উপ-সহকারী প্রকৌশলী), ইঞ্জিনিয়ারসহ (উপজেলা প্রকৌশলী) টেবিলে টেবিলে টাকা না দিলে কাগজ সই হয়না । এখন আমরা কি করবো। ঠিকাদাররা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে মিথ্যা প্রচার করেছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজে অনিয়ম করার সুযোগ নেই । বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ