রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের সাহানগাছা থেকে গুপিপাড়া হয়ে বাজার আর পাঁচঠাকুরি বাজার থেকে বেড়িবাঁধ ধরে শাহজানপুর বাজার এলাকা দীর্ঘ একযুগ ধরে রাস্তার সংস্কার কাজ না করায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসী। তাদের দুঃখ ক্ষোভ যন্ত্রণার কথা কেউ শোনে না, অভিযোগ করলেও নাকি কেউ পাত্তা দেয় না। তাদের ভাষায় এ যেন দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও নাকি দেখে না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলছে। ফলে গ্রামবাসীসহ বিস্তৃর্ন এলাকর জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেল রাস্তার এ বেহাল অবস্থা। ভ্যান রিকশা, অটোরিকশা এ সকল রাস্তায় সহসা যেতে চায় না। গেলেও ভাড়া নেয়া হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ। রাস্তার এমন দুরাবস্তা দেখে এ এলাকায় বিয়ে সাদি দিতেও অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দৈনিক ইনকিলাবের বরিশাল ব্যুরো প্রধান নাছিম উল আলম তার ছেলের বিয়ে দিতে গিয়ে রাস্তার করুণ অবস্থা দেখে ফিরে আসে। এমন রাস্তায় নাকি শহরের লোক চলাফেরা করতে পারবে না।
জেলা-উপজেলার রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারা জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এসব এলাকায় স্কুল কলেজ, মাদরাসায় মিটিং-সিটিং, জনসভা করতে আসেন বটে, তবে তাদের কারোও চোখে এমন দুরাবস্তা নজরে আসেনি। জনসাধারণের ক্ষোভ তাই এ কারনেই বেশি। তাদের কথা এখন থেকে আমরা মোটরগাড়ি নিয়ে কাউকে আসতে দেবো না। শীর্ষস্থানীয়রা যারা আসবেন তাদের ভ্যানে করে তুলে নিয়ে ধাক্কা খেতে খেতে আর উচু নিচু ঝাঁকি খেলে বুঝতে স্বক্ষম হবেন যে কেমন লাগে।
জানা যায়, আ.লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রথম পর্যায়ে এ রাস্তাগুলো পাঁকা করে দিয়ে চলাচলের উপযোগী করায় এলাকাবাসী খুবই খুশি আনন্দিত হয়েছিল। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী বয়োবৃদ্ধ বৃদ্ধারা স্বাচ্ছন্দভাবে চলাফেরা করতে পারত। আজ সেই রাস্তার বেহাল অবস্থা। ট্রাক্টরএ মাটি নেয়া, ভারিট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটি এব্রোখেব্রো হয়ে পড়ে। একবেলা এই রাস্তায় চলাফেরা করলে কেউ দ্বিতীয়বার এ রাস্তায় আসতে চায় না। ভ্যান, রিকশায়, অটোরিকশায় চড়লে ঝাঁকিতে কম্বোসাড়া অবস্থা। ব্যাথা বেদনায় ভরে যায় পুরো শরীর। বয়োস্কদের অবস্থার কথা বলাই বাহুল্য। দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে রাস্তার কোন সংস্কার নেই। রাস্তা ভেঙে পুকুরে চলে গেছে। এত কিছুর পরেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। এই চরম দুর্ভোগের রাস্তায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি বড়নেতা, ছোট নেতা, পাতি নেতা, জনপ্রতিনিধিরা চলাচল করেন না, তা না। প্রায়ই তারা সভা-সমিতি করে বেড়ান। রাস্তা সংলগ্ন স্কুল কলেজ, মাদরাসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। তারা আসেন গাড়িতে চড়ে আরাম আয়েশে। উনারা টের পান না স্থানীয়দের দুঃখ দুর্দশা।
ভ্যানচালক ইদ্রিস জানান, সাংবাদিক ভাই, আপনারে কাছে পেয়ে মনের বেদনা জানালাম, কিছু মনে করবেন না। আপনারা সাংবাদিক আপনাদের এগুলো দেখা ও লেখা উচিৎ। বললাম আপনারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মিটিং মিছিল করেন না, লিখিত অভিযোগ দেন না। অভিযোগ বা প্রতিবাদ করলে সেই আলোকে নিউজ হবে।
এ ব্যাপারে ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান জিন্নাহ জানান, অচিরেই রাস্তার কাজ শুরু হবে, প্রসেসিং চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।