বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : হুমায়ন কবীর নামে এক ব্যক্তির লাশ দাবি করে দাফন ও খানা করা হয়। রুহের মাগফিরাত কামনা করে দেয়া হয় বাড়িতে মিলাদ মাহফিল। এরপর ৬৮ দিন কেটে গেছে। বাড়িতে তখনও শোকের ছায়া কমেনি। পরিবারের চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা ধরেই নিয়েছেন হুমায়ন নিহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় “নিহত” সেই হুমায়ন কবীর সেচ্ছায় ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে হাজির হন। হুমায়ন কবীর মাগুরার ইছাখাদা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। গত ২০ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বিশ্বাসপাড়া মসজিদের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে লাশটি মাগুরার ইছাখাদা গ্রামের হুমায়ন কবীরের বলে সনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। লাশ দাফনের পর বাড়িতে খানা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল দেয়া হয়। এদিকে বাড়ি থেকে রাগারাগি করে উধাও হুমায়ন কবির বিভিন্ন স্থানে পলিয়ে থাকার পর যশোরের মনিরামপুর শহরে দর্জির কাজ করতো। এরমধ্যে একবার সে ভারত থেকেও ঘুরে এসেছে। ঝিনাইদহ পুলিশ অফিসে উপস্থিত হুমায়ন কবীর সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, তার লাশ পাওয়ার পর দাফন করা হয়েছে এবং বাড়িতে খানা দেয়া হয়েছে। এ খবর শুনে বিচলিত হয়ে যান হুমায়ন। সিদ্ধান নেন বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে ধরা দিবেন। সে মোতাবেক সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ অফিসে উপস্থিত হয়ে নিজের অন্তর্ধানের কথা পুলিশকে বলেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হুমায়ন কবীরকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, শৈলকুপায় পাওয়া লাশটি হুমায়ন কবীরের নয়। সোমবার কথিত নিহত সেই হুমায়ন নিজেই ফিরে এসেছে। উল্লেখ্য হুমায়ন কবীরের বিরুদ্ধে মাগুরা থানায় চাঁদাবাজী ও পর্ণোগ্রাফি আইনে দুইটি মামলা রয়েছে। গত ৯ সেপ্টম্বর তিনি এই দুই মামলা থেকে জামিন নেন। ১১ সেপ্টম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ২০ সেপ্টম্বর শৈলকুপার হাটফাজিলপুর এলাকার ধান ক্ষেত থেকে পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করে। একদিন পর লাশটি হুমায়নের বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করে দাফন করেন। এ দিকে হুমায়ন ফিরে আসার পর শৈলকুপার হাটফাজিলপুর এলাকার ধান ক্ষেতে পাওয়া লাশের পরিচয় নিয়ে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।