Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থাপিত হচ্ছে দুইটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২২, ৫:০৪ পিএম | আপডেট : ৫:২০ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০২২

কক্সবাজারে বিদ্যুৎ এর চাহিদা পুরণে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থাপিত হচ্ছে দুইটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কুতুবদিয়ায় বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাথমিক সফলতার পর কক্সবাজার শহরতলীর খুরুশকুলে বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কক্সবাজার অঞ্চলের বিদুতের চাহিদা মেটাতে এই কেন্দ্র থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা করা হবে বলে জানা গেছে। ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই কেন্দ্রে ২২টি টারবাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে চীন থেকে।

এই বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে জানা যায়, কক্সবাজারের খুরুশকূলে তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। ৩১ মার্চ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। সমুদ্রপথে চীন থেকে এসে পৌঁছেছে প্রকল্পের সরঞ্জাম। আশা করা হচ্ছে আগামী মে ২০২৩ থেকে শুরু হবে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

এছাড়া কক্সবাজারের ইনানিতে প্রক্রিয়াধীন আছে ৫০ মেগাওয়াটের আরেকটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ক্লিন এনার্জির মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে এই দুই প্রকল্প বাংলাদেশেকে নতুন পথ দেখাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, দেশের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সরকার মাত্র ১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছিল ২০০৭ সালে। ওই সময় কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তাবলারচর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি টারবাইন দিয়ে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখার আগেই ২০১০ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘদিন প্রায় পরিত্যক্ত থাকা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিকে ২০১৬ সালে নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন আঙ্গিকে ২০টি টারবাইন দিয়ে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে স্থানীয়দের মাঝে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে।

বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাথমিক সফলতার পর আরো বৃহৎ পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় সরকার। বাতাস ব্যবহার করে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ন্যাশনাল গ্রিডে সরবরাহ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের খুরুশকুলে ২২টি উইন্ড টারবাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ৯০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে চীন থেকে।
জানা গেছে, ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে ২২টি টারবাইন থাকবে। ৫০০ ফুট উঁচু উইন্ড টারবাইনের প্রত্যেকটিতে থাকবে ৩টি করে পাখা। পাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ২০০ ফুটের বেশি। বাতাসের বেগে এগুলো ঘুরে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। চলতি বছরের মধ্যেই এই কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ