বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও পিটিয়ে আহত করার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে গত ১৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কালাদরাপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুছের বাড়ির সীমানা নিয়ে পার্শবর্তী সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। গত ১৯ জলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন (নুর চৌকিদার) সাহাব উদ্দিনের সীমানায় থাকা টিনের বেঁড়া ৪ হাত উত্তরে সরিয়ে ফেলা শুরু করেন। ওই সময়ে গৃহবধূ বাঁধা দিলে নুর হোসেন ওই গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। ওই সময় গৃহবধূর চিৎকারে দেবর সালাহ উদ্দিন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ নুর হোসেন বলেন, আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আবু তাহের নির্দেশে সাহার উদ্দিনের সীমানার টিনের বেড়া নির্ধারণ করতে যাই। ইউনুছের স্ত্রী আমাকে বাধা দেয়, তাই আমি তাকে সরাতে টিনে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছি। কালাদরাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্ল্যা সেলিম বলেন, এটা জায়গা জমির ঝামেলা। চৌকিদার কোন অন্যায় করলে এটার দায়ভার তার।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুধারাম থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার রাতে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।