বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজু রানার ফেনসিডিল সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে তাকে একটি বাড়ির সিঁড়ির উপরে বসে ফেনসিডিল সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে ছাত্রলীগনেতা রাজু রানা বাদেও অন্যদের উপস্থিতি থাকলেও তাদের মুখ দেখা যায়নি। তবে সবাই জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ফেনসিডিল সেবনের ভিডিওটি বুধবার দুপুর থেকে ফেসবুকে প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এ নিয়ে যশোর আওয়ামীলীগ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে নিন্দা এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে ভিডিওটি মাদক বিরোধী তিন পর্বের একটি নাটকের অংশ দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা রাজু রানা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রয়েল তার ফেসবুক আইডিতে ফেনসিডিল সেবনের ভিডিওটি আপলোড দেন। ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি মুর্হতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নেশার ঘোরে বারবার ফেনসিডিল বোতল ঘুরাচ্ছে ছাত্রলীগনেতা রাজু রানা। ভিডিও বাইরে থাকা এক যুবককে বলতে শুনা যায় ৮৮ নাম্বার ঠিক আছে। আরেক একটা নিয়ে আসেন। বোতলটি নিয়ে আসলে যুবকটি বলেন ওরে বাবা এটাই তো লাগবে। এর পর একটি ফেনসিডিল বোতল রাজু রানাকে অনেকবার ঘুরাতে দেখা যায়। মোবাইলে ধারণকরা ভিডিওটি যিনি ধারণ করছিলেন তিনি একটি মুখখোলা ফেনসিডিল বোতল রাজু রানার কাছে এগিয়ে দেন। এর পর রাজু রানাকে ফেনসিডিল সেবন করতে দেখা যায়। সেটি শেষ করে আরেকজনকে আরেক বোতল আনতে নির্দেশ দেন রাজু রানা। এর পর আরেকটি বোতল সেবন করতে দেখা যায়। এর রাজু রানার সঙ্গে থাকা আরো কিছু যুবককে টাকা গুনতে শুনা যায়। ও সময় বলতে শুনা যায়, ‘আর টাকা নেই। এগুলো তাই বাকী খেলাম। এগুলো রাখেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাজু রানা বলেন, ‘আমরা মাদক বিরোধী শিক্ষামূলক নাটিকা করেছি। তিন পর্বের ওই নাটিকার একটি অংশে মাদক সেবনের দৃশ্য ছিল। শুটিংয়ের প্রয়োজনে ঝুমঝুমপুর ময়লাখানা থেকে ফেনসিডিলের খালি বোতল কুড়িয়ে ধুয়ে পানি ভরা হয়। সেই পানি ভর্তি বোতলের দৃশ্য ধারণ করা হয়। ফেনসিডিল তো দূরের কথা আমি কোন দিন সিগারেটও মুখে নিইনি। শুটিং শেষে নাটিকা এডিটিং করতে দিয়েছিলাম এক ছোট ভাইকে। তার দোকানের কম্পিউটার থেকে অথবা শুটিংয়ের সময় কেউ ধারণ করেছিল। সেটি এখন ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।