Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদীভাঙনে হুমকির মুখে বাউফলের কাছিপাড়া

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

অব্যাহত নদীর ভাঙনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর বাহেরচর থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া (গোপালিয়া) হয়ে পশ্চিম কাছিপাড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে মানচিত্র থেকে চর রঘুন্নদি, হাজীপুর, পশ্চিম কাছিপাড়া গ্রামসহ ঐসব গ্রামের শতশত বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা। অব্যাহত ভাঙনের হুমকীর মধ্যে রয়েছে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদের মধ্যে চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একেবারে ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়াও বাহেরচর বাজারসহ বাহেরচর বাজার মসজিদসহ আশেপাশের বসতবাড়ির লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
নদী ভাঙনের করলে পড়ে বাড়িঘরসহ ভিটে মাটি হারানো কাছিপাড়া ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার তৈয়ুবুর রহমান জানান, বাহেরচর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় তার বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ হারিয়েছেন, দীর্ঘ্য কয়েকবছরের অব্যাহত ভাঙনের মুখে তিনি তার বসতবাড়িটি এ বছর সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। এখন যেখানে বাড়ি করেছি সেটি বাহেরচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় কিন্তু এটিও হুমকীর মধ্যে রয়েছে তাতে মনে হয় এ বছরও তার বাড়ি পুনরায় এখান থেকে সড়াতে হবে।
চররঘুন্নদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সিকদার জানান, তার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে রয়েছে, অব্যাহত নদী ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে তার স্কুলটি। বিষয়টি তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা নদীর ভাঙন দীর্ঘ্য ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত চলছে, ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে একাধিক গ্রামসহ শতশত ঘরবাড়ি ফসলি জমি। বিষয়টি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. অরিফুর রহমান জানান, কারখানা নদীর ভাঙন ১৫ থেকে ২০ দিন আগ থেকে বাহেরচর এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বাহেরচর বাজারসহ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলসহ ৭ থেকে ৮ শ’ মিটার এলাকা ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জরুরি ভিক্তিতে ২৫০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে। এতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে, পরে অনুমতি সাপেক্ষে বাকী কাজ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ