বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেছারাবাদ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী(ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসেছেন সে। সাংবাদিকদের কাছে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবানবন্ধি দেওয়া শিক্ষকদের অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। অভিযোগকারি শিক্ষকদের ডেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে লিখিত জবানবন্ধি নিতে তার অনুসারি গুটি কয়েক শিক্ষকদের মাধ্যমে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে লড়াইয়ে নামবেন বলে কয়েকজন শিক্ষক এ কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না শর্তে সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ইউসুফ আলী মুক্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হীরা রানি ঢালীকে ডেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অন্যাথায় তার চাকরি ক্ষেত্রে নানান সমস্যা আসতে পারে বলে জানান।
অপর এক শিক্ষক জানান, ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর গোটা উপজেলার শিক্ষক পাড়ায় তোলপাড় চলছে। শিক্ষকরা তার দুর্নীতির খবর পত্রিকায় পড়ে একে অপরের কাছে একটা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
নাম না প্রকাশ শর্তে স্বরূপকাঠি পৌরসভার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, তিনি কেবল স্লিপ,রুটিন,ক্ষুদ্র মেরামতই নয়, বিদ্যালয়ের সকল প্রকার বরাদ্দ থেকে তাকে পার্সেনটিস দিতে হয়। কোন শিক্ষক যদি তাতে রাজি না হয়, তাহলে স্লিপ ছাড়া ওই বিদ্যালয় কোন বরাদ্দ আসেনা। ওই শিক্ষক আরো বলেন, কেবল উল্লিখিত বরাদ্দগুলোই নয় তিনি জরুরি বরাদ্দের জন্য তার মনোপূর্ত শিক্ষকদের ডেকে চুক্তি করে প্রতি বছর সাত আটটি বিদ্যালয়ের জন্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ আনেন। ওই বরাদ্দ থেকে তিনি কখনো কখনো ত্রিশ থেকে চল্লিশ পার্সেন টাকা হাতিয়ে নেন। তবে এ বিষয়ে জানার জন্য ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলীকে ফোন দিলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন কিছু কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই নেছারাবাদে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইন ভার্সন সহ একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে তার বিরুদ্ধে ২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলার ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে বিশ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষকরা সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরার সামনে এসব অভিযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।