পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই বঙ্গোপসাগরের বেশিরভাগ এলাকা জুুড়ে এখন ইলিশের ব্যাপক প্রাচুর্য। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। সাগরে মাছ ধরার সাথে জড়িত জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। বরিশাল থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলের মোকামগুলোতে শুধুই রূপালী ইলিশ। খুচরা বাজারেও গত দুদিনে ইলিশের সরবারহ বেড়েছে।
বরিশালের খুচরা বাজারগুলোতে এক কেজি ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকা থেকে ইতোমধ্যে ১২০০ টাকায় নেমেছে। এক কেজির কম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হচ্ছে ৯০০ টাকা। প্রতিদিনই আলীপুরÑমহিপুর, গলাচিপা, পাথরঘাটা, পাড়ের হাট, চর মোন্তাজ, ঢালচর, চর কুকরি-মুকরিসহ সাগর পাড়ের আরো বেশকিছু মোকাম থেকে বরফ বোঝাই করে ছোট বড় ট্রলার ছুটছে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণে।
এসব ট্রলার ১০ থেকে ১২ দিনের জন্য বরফসহ জেলেদের খাবার নিয়ে সাগরে গেলেও গত তিন দিনেই বেশকিছু ট্রলার ইলিশ বোঝাই করে মোকামে ফিরে এসেছে। মহিপুরÑআলীপুর ও গলাচিপার একাধিক জেলে ও আড়তদার জানিয়েছেন, এবার ইলিশের আকার ভাল। সাগরে ৮০০ থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ ধরে ফিরতে শুরু করেছে জেলেরা।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের মাঝে যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল, তা ক্রমে কেটে যাচ্ছে। তাদের মতে, কোনো সম্পদই অফুরন্ত নয়। তাই অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বঙ্গোপসাগরে অতি আহরণ নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে গত কয়েকদিনে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে টনকে টন ইলিশ। মাছের আড়ত ও ফিশারি ঘাট ইলিশে ভরে গেলেও দাম কিন্তু এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার কক্সবাজার উপকূলে ধরা পড়েছে প্রায় ৬০ টন মাছ। এর অধিকাংশই ইলিশ। বাজারে মিলছে ৮০০ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ। ব্যবসায়ী ও জেলেদের তথ্য মতে, ১৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।
দুই মাস সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় মাছের উৎপাদন যেমন বেড়েছে তেমনি আকারও বেড়েছে। বাজারে পাইকারিতেই ১২০০ থেকে ১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৪০০ টাকায়। গত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারী ব্যবসায়ী মুনিরুল আলম বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। কক্সবাজার রুমালিয়ারছরা বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ী মো. ইউনুছ বলেন, ১২০০ থেকে ১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।
কক্সবাজার বড় বাজারে মাছ কিনতে যাওয়া আব্দুল্লাহ জানান, ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে তাই দাম কিছু কম হবে আশা করেই বাজারে এসেছিলেন। তিনি জানান, বড় একটি ইলিশ কেজিতে দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের ইলিশও ৮০০ টাকা কেজি। এতো বেশি দামে ইলিশ কেনা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার আহসানুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনে সাড়ে ১৬ টন মাছ এসেছে। গত সোমবার ইলিশসহ মাছ এসেছে সাড়ে ১৫ টন। এরমাঝে ইলিশ সাড়ে ৭ টন। কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেও কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের খুব একটা দেখা পায়নি জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে বড় ইলিশ ধরা পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।