পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে চার দফা জানাজা শেষে দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার প্রাক্তন অধ্যক্ষ আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী দাফন জামেয়া মাদরাসাসংলগ্ন কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বাদে জোহর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে তৃতীয় এবং জামেয়া ময়দানে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের দু’টি জানাজায় মানুষের ঢল নামে।
জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে জানাজায় ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী। জানাজা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন মাইজভা-ার দরবারের সাজ্জাদানশীন শাহ্সূফী মাওলানা সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী। এরপর বাদে আসর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ভাগিনা মাওলানা মুহাম্মদ ইসকান্দর আলম। মোনাজাত করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান। জানাজার পূর্বে মরহুমের জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান সূফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, প্রফেসর মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন, মরহুমের পুত্র ব্যারিস্টার আবু সাঈদ মুহাম্মদ কাসেম, জামেয়া গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সাবেক কমিশনার মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, জামেয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ ছগীর ওসমানী, মুফতি মুহাম্মদ উবাইদুল হক নঈমী, মাওলানা আবদুল মান্নান, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী, মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, মুফতি কাজী আবদুল ওয়াজেদ, প্রফেসর মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী, মাওলানা আবু সুফিয়ান আবেদী আল কাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাশেম শাহ্, মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রেজভী, চন্দ্রঘোনা তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া নুরুল হক জরিনা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।
উভয় জানাজায় হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগম ঘটে। মাঠ উপচিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজার নামাজ আদায় করেন। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ শামসুল আরেফিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন, পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, পীরে তরিকত কাজী সাদেকুর রহমান, অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নুরুল আলম খান, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ প্রমুখ।
দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বরেণ্য আলেমে দ্বীন ‘খতিবে বাঙাল’খ্যাত অধ্যক্ষ আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সভাপতি, জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ছিলেন। আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী (রহঃ) গত শনিবার রাত সোয়া ১০টায় ঢাকা বারডেম হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অনবদ্য ওয়াজেয়ীন, সুন্নিয়াতের দার্শনিক অধ্যক্ষ আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, দৈনিক ইনকিলাব ও মহাখালী মসজিদে গাউছুল আজমের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মরহুম মাওলানা এমএ মান্নান (রহঃ)-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী। অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আল কাদেরী পটিয়া উপজেলার ছনহারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৪৩ বছর ধরে শিক্ষকতায় ১০ বছর মুহাদ্দিস এবং ৩৩ বছর ধরে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করে দ্বীন, সুন্নিয়াতের প্রচার-প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।