বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720000613](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর উপর ব্রিজের এপ্রোচ ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে প্রায় ১০ গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষকে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত ব্রিজের এপ্রোচ সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। অবশেষে এপ্রোচটি ভেঙে গেলো। তারা বারবার বললেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা এলজিইডি কোনো কাজ করেনি।
স্থানীয়রা জানায়, বন্যার শুরুতেই সেতুর আশপাশে নদী ভাঙন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেলেও সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। পুনরায় নদীর পানি কমতে থাকায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এলেংজানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একপাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আশপাশের ১০টি গ্রামসহ চরাঞ্চলের মানুষ যোগাযোগে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সিলিমপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তাইজুল ইসলাম জানান, সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াতে মারত্মক অসুবিধার শিকার হচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় এলেংজানী নদী পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। সংযোগ সড়কের স্থানে বাঁশের সাকোঁ তৈরি করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান তিনি।
মাইঠান ও দেউলি গ্রামের হাবিব, হাফিজুল, সবুজ জানায়, এলেংজানী নদীতে পানি বাড়ার সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পানি কমতে থাকায় সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
দেউলী ইউপি চেয়ারম্যান তাহমিনা আকতার জানান, ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেতুর এক পাশের সড়ক ভেঙে গেছে।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ জানান, দ্রুত ওই সংযোগ সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন। আগে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব ছিল। উপজেলা পরিষদ থেকে গত দুই বছরে বারবার মৌখিকভাবে জানানোর পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।