বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি.হাস। গতকাল সোমবার বিকালে নগর ভবনে মেয়র দফতরকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী রাজশাহীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্টদূত।
বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমাদের সিটি কর্পোরেশনে এসেছেন, আমার সাথে বৈঠক করেছেন, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজশাহীতে যে আমেরিকান সেন্টার রয়েছে, সেটির পরিধি আরো বৃদ্ধি করা যায় কিনা সেটার সম্ভাব্যতা তারা যাচাই করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ পুলিশের যে ট্রেনিংয়ে কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে, তা প্রসংশার দাবিদার। সব মিলিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো ভালো হবে-প্রত্যাশা করি। অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগরীর ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমি রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিস, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেনিং এর কার্যক্রম, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, আমেরিকান কর্ণার ইত্যাদি পরিদর্শন করেছি। রাজশাহী সত্যিকার অর্থে সুন্দর গ্রিন ও ক্লিন সিটি। মেয়র মহোদয়ের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি।
নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস‘কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন রাসিক মেয়র। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। এরপর শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য আর বর্ণিল আয়োজনে আয়োজনে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, সচিব মো. মশিউর রহমান, প্রকল্পের উপদেষ্টা আশরাফুল হক, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালে নূর-ঈ সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।