Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফজলে রাব্বী মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ এএম

দুই ছেলে স্ত্রী ও পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ডেপুটি স্পীকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বি মিয়া। এর আগে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করলে তার সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। সেখান থেকে জানাজার জন্য আ্যম্বুলেন্স যোগে ভরতখালী হাই স্কুল মাঠে তার লাশ নেয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ডঅব অর্নার প্রদান করেন। পরে বেলা ৩টায় জানাজা শেষে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানায়। পরে তাকে নিজ গ্রাম গটিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে ২য় জানাযা বিকাল ৪টা ও বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে অপর আর একটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলে স্ত্রী ও বাবা মার কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

জানাযায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ জাহান খান এমপি, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি খোশেদ আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন শফিক, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক সহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ডেপুটি স্পীকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জানাজায় অংশ নেয়া তার সহকর্মী, দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের মানুষ জানায় তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন গাইবান্ধার প্রিয়মুখ। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সর্ম্পক গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ