Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবির পিএইচডি ভর্তি আহ্বান, গবেষণার বিষয় নির্ধারণে সহায়ক হবে যে বইটি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ৬:০৭ পিএম | আপডেট : ১:৪৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২২

সম্প্রতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে (জুলাই-ডিসেম্বর) পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আহ্বান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। গত ৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাবির অধীনে পিএইচডি গবেষণার বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন একটি অনবদ্য গ্রন্থ সম্প্রতি রচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পিএইচডি ও এমফিল গবেষণা নিয়ে বিভাগ ভিত্তিক প্রথম পূর্ণাঙ্গ বিবরণী গ্রন্থটির নাম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শতবর্ষের গবেষণা পিএইচ.ডি. ও এম.ফিল’। গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে ১৮১২ টি পিএইচডি গবেষণার বিবরণ। সুতরাং যে কেউ গ্রন্থটির মাধ্যমে নিজের পছন্দের গবেষণা শিরোনাম বাছাই করতে পারবেন।

গ্রন্থটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত গত এক শতাব্দীর পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষক, গবেষণা শিরোনাম, তত্ত্বাবধায়ক ও ডিগ্রিপ্রাপ্তির তারিখসহ বিভাগভিত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সন্নিবেশিত হয়েছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ এবং এর অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটসমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। আলোচ্য গ্রন্থটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার বিষয় নির্বাচনে নানাভাবে সহায়তা করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গ্রন্থটিতে লেখক ড. মো. আবুল কালাম সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টিলগ্ন থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন অবধি মোট পিএইচডি ও এমফিল ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাপ্ত মোট গবেষকের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন।

জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট হতে মোট ১ হাজার ৮১২ জন পিএইচডি ডিগ্রি, ২৭ জন ডিএসসি ডিগ্রি, ৮ জন ডিএড ডিগ্রি, ১২ জন ডিবিএ ডিগ্রি ও ১ হাজার ৬৭০ জন এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী প্রজন্ম গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণে সহায়ক হবে এই গ্রন্থটি। কারণ গ্রন্থটিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে স্থান পেয়েছে শত শত গবেষণার বিষয়বস্তু। এছাড়াও এই গ্রন্থে রয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষয়ভিত্তিক গবেষণার বর্ণনা। যেটা থেকে যে কেউ সহজেই ডাটা সংগ্রহ করতে পারবে যে, কোন বিষয়ের উপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কতটি গবেষণাকর্ম পরিচালিত হয়েছে এবং সেটির গবেষক কে ছিলেন।

ড.আবুল কালাম আরো বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও এমফিল করবে বইটি শুধু তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এমন নয়, বরং বাংলাদেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি। এখানে যে কাজগুলো হয়েছে তা থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধারণা নিতে পারবে।

 

বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এর গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, আমরা জুলজির ছাত্র হিসেবে সবকিছুকে ম্যাপিং করি। পৃথিবীর অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এসব বিবেচনা করে একটা ম্যাপ (মানচিত্র) রচনা করি। এই বইটির মধ্যে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার একটা ম্যাপিং তিনি ( লেখক ) করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ