Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলাগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রে সাদা পাথর চুরি, ব্যবস্থা নিলেন না ইউএনও!

সিলেট (কোম্পানীগঞ্জ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ৩:৩৬ পিএম

বৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে সিলেটের পাথর কোয়ারীতে। তবে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে দেদারচ্ছে। সীমিতভাবে এই পাথর উত্তোলনে রাজস্ব বঞ্চিত সরকার হল্ওে স্থানীয় দাপ্তরিক কর্মকর্তারা পকেটভারী করছেন এই সুযোগে। ভোলাগঞ্জের সংরক্ষিত সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে চুরি করা পাথর সরেজমিনে পেয়েও জব্দ না করে এক দিনের সময় দিয়ে চলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ থাকার পরেও কোন এক অদৃশ্য কারণে নমনীয় ইউএনও। উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার কাছে ইউএনও ওসিকে দিয়ে পাথর জব্দ করে মামলা হবে আশ্বাস দিলেও ওসি বললেন ইউএনও জানেন। ইউএনও-ওসির জানাজানির ফাঁকে সকল আস্ত পাথর ক্রাশিং করা হচ্ছে মিলে। উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার এমন আচরণে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকা থেকে রাতের আঁধারে পাথর চুরিতে সায় দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।


২৪ জুলাই দুপুর আড়াইটায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ির মাহবুব স্টোন ক্রাশারে পুলিশের ফোর্স নিয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং। এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ সাদা পাথর পান তিনি। এর মধ্যে বেশিরভাগ পাথর ক্রাশিং করা হলেও ভোর রাতে ক্রয় করা পাথরগুলো ক্রাশিং করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো ক্রাশার মিলের এক পাশে স্তুুপ করে রাখা ছিল। ক্রাশার মিলের মালিককে পাওয়া যায়নি অজুহাত দেখিয়ে ইউএনও পাথর গুলো জব্দ না করে একদিনের সময় দিয়ে চলে আসেন।


স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতি রাতে চুরি হচ্ছে সাদা পাথর। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিতে প্রতি রাতে চুরি হচ্ছে পাথর। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলে ২৪ জুলাই। এ দিন ভোর রাতে ৩০-৪০ টি নৌকা দিয়ে পাথর চুরি হয় সাদা পাথর থেকে। দিনের আলো ফোটার আগেই সেগুলো কলাবাড়ির সুজনের ঘাটে এনে রাখা হয়। সেখান থেকে ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে মাহবুব স্টোন ক্রাশার মিলে আনা হয়।


কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন কি করবেন। আমরা যাচাই-বাছাই করতেছি। তবে মিলে সাদা পাথর ভেঙ্গে ফেলছে। মিলে আস্ত সাদা পাথর আছে সেগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এই পাথর যে সাদা পাথর থেকে এসেছে তাও কি করে প্রমাণ করবেন তিনি। গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি প্রভাস কুমার সিংহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নয়। খবর নিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইন নাম্বারে বার বার ফোন দিলে ব্যস্ত দেখায়।

এ বিষয়ে জানতে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউএনও ওসিকে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই পাথর গুলো জব্দ করার জন্য। ওসি মামলা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ