বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে কাজ না করে অর্থ খরচ দেখানো অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দুই ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর কাজ শুরু হলেও তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাটিকাটা ইউনিয়নে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয়। কিন্তু সেই অর্থের কোনো কাজ ইউনিয়নের কোনো এলাকায় হয়নি। চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সচিব সাব্বির হোসেন ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে ভুয়া প্রকল্প দাখিল করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের রেজ্যুলেশনে মাটিকাটা ইউনিয়নের আইনাপুকুর গাফ্ফারের বাড়ি থেকে উজিরের বাড়ি হয়ে বেলডাঙ্গা জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট বাবদ ৬ লাখ ৯০ হাজার, কাদিপুর ঈদগাহ মাঠে বালু মাটি ভরাট করে সংস্কার বাবদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মাটিকাটার বিভিন্ন ক্লাব ও স্কুলে খেলার সামগ্রী বিতরণ বাবদ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুম নির্মাণ ও অফিস সংস্কার বাবদ ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার প্রকল্প দেখানো হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ওই এলাকায় কোনো কাজই করা হয়নি। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউপি সদস্য সেতাবুর রহমান ও মো. নুরুজ্জামান জানান, কোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে সভা করার নিয়ম থাকলেও সেটি করা হয়নি।
প্রকল্প কমিটি গঠন করে শুধু তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ইউপি সদস্যরা কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ও সচিব খারাপ আচরণ করেন।
যেসব প্রকল্প দেখানো হয়েছে, তার একটিতেও কাজ করা হয়নি। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করার পর শুক্রবার একটি রাস্তার কাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু সেখানেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইউপি সদস্য মো. নুরুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরুর খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চেয়ারম্যান সোহেল রানার স্বজনরা তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কাজ হচ্ছে। দুই ইউপি সদস্য এলাকায় খারাপ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের কাগজপত্র হাতে আসলে তদন্ত শুরু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।