পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানামুখী প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে ‘মাছে ভাতে বাঙালী’র দক্ষিণাঞ্চলে চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ মাছ উদ্বৃত্ত থাকছে। এমনকি এ অঞ্চলে মৎস্য সেক্টরে অনুমোদিত জনবলের অর্ধেকেরও বেশি ঘাটতির পাশাপাশি সাগর ও নদ-নদীতে অভিযানের মতো কোনো নৌযান না থাকলেও প্রবৃদ্ধি জাতীয় হারের চেয়ে বেশি। সারাদেশে উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৭০ ভাগেরই উৎপাদন ও আহরণ দক্ষিণাঞ্চলের উন্মুক্ত জলাশয়সহ উপকূল সংলগ্ন সাগর এলাকায়। এমনকি মাছ উৎপাদনে দেশ ২০১৬-১৭ সালে সয়ম্ভরতা অর্জন করলেও দক্ষিণাঞ্চল সে সফলতা অর্জন করেছে আরো পাঁচ বছর আগে। গত এক যুগে দেশে মৎস্য সেক্টরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫৩% হলেও এ অঞ্চলে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭৫%। এসময়ে দেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় ৭০% বৃদ্ধি পেলেও দক্ষিণাঞ্চলে প্রবৃদ্ধির হার ১১৫%-এর মতো।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, একজন মানুষের দৈনন্দিন মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম হলেও আমাদের দেশে প্রাপ্যতা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৩ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে তা আরো বেশি। যা ইতোপূর্বে ছিল ৫৩ গ্রাম। দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩ লাখ ২০ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ৮ লাখ টনেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি ফসলের চেয়ে মাছ চাষে মুনাফা বেশি হওয়ায় এ সেক্টরের প্রতি গ্রামঞ্চলের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় নিবিড় ও আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে রুই জাতীয় মাছের উৎপাদনও বছরে প্রায় ১ লাখ টন। পাশাপাশি পাঙ্গাস, শিং-মাগুর, কৈ, তেলাপিয়া এবং চিংড়ি ছাড়াও অন্যান্য মাছের উৎপাদনও দেড় লাখ টনের কাছে। এ অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি ৫০টি হ্যাচারী ও ৯২৩টি নার্সারীতে প্রায় ৩৫ হাজার কেজি রেনু ছাড়াও ৩৫ লাখ মাছের পোনা উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার খাঁচায় বছরে দুই থেকে আড়াই হাজার টন সাদু পানির বিভিন্ন ধরনের মাছ উৎপাদন করছেন।
এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি উপজেলার প্রায় তিন হাজার মৎসজীবী সহস্রাধিক টন শুটকী উৎপাদন করছে। যার পুরোটাই কীটনাশকমুক্ত ও রোদে শুকানোর মতো স্বাস্থ্যসম্মত লাগসই প্রযুক্তির বলে মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রায় ৫ লাখ জেলে মৎস্য সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল হলেও মৎস্য অধিদফতরের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এখনো সাড়ে ৩ লাখের কিছু বেশি। তবে অধিদফতরের মতে, এ অঞ্চলে জেলে পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজারের মতো।
বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মাত্র ৩৭০টি মঞ্জুরিকৃত পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭৩ জন। ১৯৭টি পদেই কোনো লোকবল নেই। এঅঞ্চলে সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকরী পরিচালক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকতা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তার অর্ধেকেরও বেশি পদেই জনবল নেই। এমনকি খামার ব্যবস্থাপকসহ সহকারী মৎস কর্মকর্তার ৪২টি পদেরও বেশিরভাগ শূণ্য।
এসব বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান হাওলাদারের সাথে আলাপ করা হলে তিনি দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য সেক্টরে উন্নতির জন্য চাষিদের পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।