Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে : মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ৬:৪০ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ আজ গভীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপন্ন। সরকারের গণবিরোধী কার্যক্রম ও অধিকার হরণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দেশের সংকট নিরসনে গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সংকট নিরসনে একমাত্র বিকল্প বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো ইনশায়াল্লাহ।

আজ শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল। মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মানুষ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আজ তারা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে। আজ দেশে সুশীলরা কথা বলতে ভয় পান। সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পান, বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে ভয় পান।

তিনি বলেন, অর্থনীতিকে সরকার একটি ত্রাসে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট-দুর্নীতি হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ৪০ শতাংশের নিচে ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, তেল গ্যাস জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। আমাদের ৩.৫ মিলিয়ন গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মী মামলায় জর্জরিত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সরকার ভিন্নমত পোষণকারীদের দমিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। যে দেশের মানুষ উৎসব করে ভোট দিতো তারা আজ ভোটকেন্দ্রে যায় না। ভোট দেওয়াকে ঘৃণা করে। মানুষের কোনো আস্থা নেই নির্বাচনে। বিদেশিরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ইতোমধ্যে ভূয়া নির্বাচন বলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নৈরাজ্যে পরিণত করেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ, শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণ মেধাবিদের বঞ্চিত করছে। স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে। সরকার লোডশেডিং মুক্ত বলে উৎসব করেছে আর এখন গ্রামাঞ্চলে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। যা কৃষি খাতকে ধ্বংস করে দেবে। সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত করছে। দুটি সার কারখানা বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের শস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান চাই। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে বহুমাত্রিক রাজনীতি চর্চা করতে চাই। দেশ আজ উদ্ভট উটের পিঠে চলছে। কবির ভাষায় বলতে হয় অদ্ভুত আধার এসেছে এ পৃথিবীতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ