বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৩ টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা ২৫, ২৬ ও ২৭ জুলাই। ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা থেকে প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তারা সবাই ছুটছেন রাজশাহী অভিমুখে। বাসে টিকিট নেই বললেই চলে। অগত্যা তারা ভিড় করছেন রেলষ্টেশনে। রেলেও টিকিট নেই। হতাশ হয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল। শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ১৩০ টি টিকিটের সবগুলোই বিক্রি হয়ে যায়। শুক্রবারও একই অবস্থা। ৫ মিনিটেই টিকিট নেই। সরাসরি রাজশাহীর টিকিট না পেয়ে তারা খুলনা থেকে সৈয়দপুরগামী সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট খুঁজছেন, নাটোরের কাছাকাছি নামবেন বলে। এখানেও টিকিট সংকট। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, খুলনার টিকিটের কোটা শেষ, আমাদের কিছু করার নেই।
আজ শুক্রবার খুলনা রেলষ্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারের সামনে বিশাল ভিড়। অনেকেই রাত থেকে অপেক্ষা করছেন টিকিটের জন্য। কাউন্টারের সামনে মাদুর পেতে বসে থাকা খুলনা সিটি কলেজের ছাত্র রুবাইয়াত হাসনাইন জানালেন, কাল রাত থেকে বসে আছি টিকিটের আশায়। আমি নাটোরের টিকিটি পেয়েছি। আমার সাথে থাকা দুই বন্ধু এখনো টিকিট পায়নি। নাটোরে নেমে বাসে করে আবার রাজশাহী আসতে হবে। এটি চরম বিড়ম্বনা আমাদের জন্য।
টিকিট কাটতে আসা সুন্দরবন কলেজের ছাত্র রাজিব বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব মিডিয়াতে খুলনার রেলস্টেশনে শিক্ষার্থীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের দুর্দশা বা পরীক্ষার কথা বিবেচনা খুলনা থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিতে পারতেন। অথবা কয়েকটি বগি সংযোজন করতে পারতেন। এটা করলে আমাদের কষ্ট লাঘব হত।
সোহেল রানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আধুনিক হয়েছে খুলনার রেল স্টেশন। উন্নত হয়নি সেবার মান। সারারাত এখানে থেকে কষ্ট করেছি কিন্তু টিকিট পাইনি। সকালে তাকে কাউন্টার থেকে সৈয়দপুরের টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেখান থেকে রাজশাহী কাছে হয়, সেখানে নেমে যাবেন। শিক্ষার্থী জোনায়েদ বলেন, অনেক কষ্টে রাজশাহী যাওয়ার একটি টিকিট পেয়েছি। আমাদের চার বন্ধু টিকিট পায়নি, ওদের হয়তো পরীক্ষা দেয়া হবে না।
খুলনা স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সাহা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে রেলে যাত্রীদের চাপ কমেছে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা আসলেই যাত্রীদের চাপ বাড়ে। বুধবার ২৪ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ২৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। আজ সবাই ২৪ জুলাইয়ের টিকিট চাইছেন। যাত্রীরা সরাসরি রাজশাহীর টিকিট না পেয়ে ওই অভিমুখী অন্য স্টেশনের টিকিট নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।