Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্য খুন

সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গনে প্রকাশ্য দিবালোকে মামলার আসামিরা ছুরিকাঘাত করে বাদীকে হত্যা করেছে। নিহত বাদীর নাম মিজানুর রহমান খোকন তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গলাখাল গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে ও আদালতে বিচারাধীন মামলার বাদী। আসামিদের বিরুদ্ধে নিহতের চাচাতো ভাই মাসুক মিয়ার দায়েরকৃত মামলাও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামিদের বাড়ির দক্ষিণে সরকারি রাস্তার উপর বাদী মাসুক মিয়ার ছেলে নাছিম মিয়া ও তানভীর মিয়াকে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিলে গলাখাল গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার পুত্র মাসুক মিয়া বাদী হয়ে উক্ত হুমকির ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় জিডি দায়ের করেন। পরে গত ৭ জুন জগন্নাথপুর থানার এসআই মো. আব্দুস ছাত্তার, গলাখাল গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র ফয়েজ মিয়া, আফরোস মিয়ার পুত্র সেবুল, আফরোশ মিয়ার পুত্র সাজিদ মিয়া ও বাদশা মিয়ার পুত্র শাহান মিয়া এর বিরুদ্ধে আদালতে নন এফআইআর প্রসিকিউশন প্রেরণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্úণ করে যথারীতি জামিন লাভ করেন। অন্যদিকে বাদী মিজানুর রহমান খোকন ও মাসুক মিয়াও তাদের সাক্ষীদের নিয়ে পৃথক দুটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেন। আদালতের কাজ শেষ করে বাদী ও বিবাদীপক্ষ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এসময় উত্তেজিত আসামিরা উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে বাদী মিজানুর রহমান খোকন মিয়াকে বুকে ও পেটে জখম করে গুরুতর আহত করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্য দিবালোকে মামলার আসামি বাদীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার ঘটনায় আইনজীবীরা আসামিদের হাতেনাতে আটক করে কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় কনস্টেবল মিজান আইনজীবীদের আটক করে দেয়া আসামি শাহান মিয়াকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কনস্টেবল মিজান ও অন্যান্য ৩ আসামিকে আটক করেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও এসআই হাবিবসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের কোন সহযোগিতা বা গাফিলতি থাকলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ