Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় শিডিউলের সাথে মিল নেই লোডশেডিংয়ের

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

একদিকে তীব্র গরম, সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা অন্যদিকে ক্ষণে ক্ষণে লোডশেডিং। দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছেন খুলনার মানুষ। বিদ্যুৎ বিভাগের দেয়া শিডিউলের এর সাথে মিলছে না লোডশেডিং। কোনো এলাকায় একবার বা দু’বার লোডশেডিং করা হবে বলা হলেও ৪ থেকে ৫ বারো লোডশেডিং করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, আগাম বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলায় সরকার গত ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে।
সে সময় বলা হয়েছিল সর্বোচ্চ দু’ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিপনন ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)-এর লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করে। শিডিউলে প্রতিটি ফিডারের নাম উল্লেখসহ কখন এবং কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না তা জানানো হয়। বাস্তবে দেখা গেছে, শিডিউলের সাথে লোডশেডিংয়ের কোন মিল নেই। দু’বার লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও দিনের মধ্যে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ গেছে ৩ বার, টুটপাড়া এলাকায় ৩ বার, রূপসা এলাকায় ৪ বার, দৌলতপুর এলাকায় ৩ বার ও নিউমার্কেট এলাকায় ৪ বার।
বিকেল ৪টায় লোডশেডিং চলাকালে খালিশপুর বিআইডিসি রোডের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে মোট ৩ বার লোডশেডিং করা হয়েছে। গরমে বেচাকেনার অবস্থা এমনিতেই খারাপ। তার ওপর রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করতে হচ্ছে। শুরুতেই আমরা ব্যবসায়ে বড় একটি ধাক্কা খাচ্ছি।
একই এলাকায় ফটোকপির দোকানের মালিক সাবিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের ব্যবসা হয় না। বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় রয়েছি।
টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা ও মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯ জুলাই বিকেলে লোডশেডিং করার কথা, লোডশেডিং শুরু হয়েছে সকালে। বিদ্যুৎ আসে আর যায়। তিনি দাবি করেন, সরকারি অফিস-আদালত, স্কুলের সময় কমিয়ে দেয়া হোক, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করা হোক, লোডশেডিংয়ের কোন প্রয়োজন হবে না।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন আখতার পারভীন জানান, লোডশেডিং এর শিডিউল তৈরি করা হয়েছে। তবে লোডশেডিং নির্ভর করে আমরা জাতীয় গ্রিড থেকে কোন সময় কতটা বিদ্যুৎ পাচ্ছি তার ওপরে। অর্থ্যাৎ যখন প্রয়োজনীয় পরিমাণে বিদ্যুৎ পাই, তখন আমরা লোডশেডিং করি না, ঘাটতি হলে করি। কখন ঘাটতি হবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব হয় না। এ জন্য শিডিউল পুরোপুরি অনুসরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, বুধবার এ অঞ্চলে ২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। লোডশেডিংও সেভাবে করা হয়েছে। ঘাটতি বেশি হলে লোডশেডিং বেশি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ