পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন। ১৯৮২ সালের নিয়মিত বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নিয়োগ দিয়ে গতকাল রোববার আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিনি আবুল কালাম আজাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা আবুল কালামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী ১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পান। চাকরির মেয়াদ শেষে একই পদে চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ২০০৬ সালে নৃ-বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউট ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিস কলেজ, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বব্যাংক ইনস্টিটিউট, ইরানের তেহরানস্থ আইসেস্কো আঞ্চলিক কার্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ (এসিইআর) মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ নেন।
তিনি ১৯৮২ সালের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৩ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগ দেন। চাকরি জীবনে তিনি মাঠ পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি শেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে অতিরিক্ত সচিব এবং ২০১০ সালে সরকারের সচিব পদে পদোন্নতি পান। তিনি ৩০ জুন ২০০৯ হতে ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব ও পরে পূর্ণ সচিব হিসেবে ২০ অক্টোবর ২০১০ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ে, ২১ অক্টোবর ২০১০ হতে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ হতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তারিখে তিনি সরকারের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান।
দেশী ও বিদেশী অনেকগুলো পেশাজীবী ও শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থার সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্যারিসে অবস্থিত ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া। বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ বর্তমানে তিনি অনেকগুলো সংস্থায় সভাপতি ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমির ফেলো এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্যের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার লেখক-নাম কামাল চৌধুরী। দেশের একজন প্রথিতযশা কবি হিসেবে তিনি ২০১১ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ভারতের কলকাতার সৌহার্দ্য সম্মাননা (২০০৩) এবং ২০১১ সালে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হন। এ পর্যন্ত তার ১৫টি কবিতার বই, দু’টি সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ এবং বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আইসেসকোর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, জাতীয় পাঠ্যক্রম সমন্বয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।