বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত শনিবার রাতে এক ঘন্টার টানা অতি বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয় সিলেট নগরীতে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অপরিকল্পিত উন্নয়ন সহ তার মদদপুষ্ট ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের লুটপাটের অভিযোগ উঠে। এতে আগুনে ঘি ঢালেন সিসিকের ৪ বারের কাউন্সিলর সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েছে লোদী। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে লিখেন, ‘‘নগরীতে বন্যা নাই, সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর মেইন রোড গুলোতে এমন পানি পুরাই হাস্যকর। মাগার শত শত কোটি টাকা কই গেল রে ’’। অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নে নাকাল নগরবাসী,শত শত কোটি টাকার খরচ করে সুন্দর রাস্তা ও লাইটিং শুধু উন্নয়ন নয় ফ্যাক্ট: সামান্য বৃষ্টিতে সিলেট শহরে জলাবদ্ধতা।’’ এতে তোলপাড় ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেব্যে ৮টি স্ট্রাইকিং টিম গঠনের কথা জানিয়েছেন মেয়র। পানিবদ্ধতা ঠেকাতে কাজ করবে এসব টিম।
নগর ভবনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নিজের বক্তব্যে ৮টি স্ট্রাইকিং টিম গঠনের কথা জানান মেয়র আরিফ। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে প্রবল বর্ষণের কারণে সিলেট নগরীর প্রায় সব এলাকা নিমজ্জিত হয়। যে কারণে আমাদের অনেকের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিমজ্জিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আবহাওয়ার বিরূপ কারণে প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই সমস্যা।’ ‘গত শনিবার দিনে অস্বাভাবিক তাপদাহের পর রাতে অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে আকস্মিক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। সেই দুর্ভোগের শিকার আমি নিজেও। যদিও আমার বাসা নগরীর মধ্যভাগে উঁচু এলাকায়। শনিবার রাতে ১১টা ২ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৮ মিনিটে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ওইদিন মোট ৬ ঘন্টায় ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। যা সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে কম সময়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড। এটিকে অতিপ্রাকৃতিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।’ মেয়র আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তাৎক্ষণিক সচেষ্ট হই আমরা। আবহাওয়া অফিসের আগাম সতর্কবার্তায় এই অতিপ্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে, সেদিক বিবেচনায় আমরা সিসিকে জরুরি সভার আয়োজন করেছি। আমাদের করণীয় নির্ধারণ করেছি এরইমধ্যে। দিন কিংবা রাত, যেকোনো সময় অতিবৃষ্টি শুরু হলে আমাদের ৮টি স্ট্রাইকিং টিম পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমিসহ সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ মাঠে থাকবো ইন শা আল্লাহ!’
মেয়র আরিফ বলেন, পানিবদ্ধতার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে, তা স্বীকার করতে আমার কোনো অসুবিধা নাই। এবারে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা ছিল, দুই মাস আগে বৃষ্টি শুরু হবে। বঙ্গবীর রোডে যে জলাবদ্ধতা, তা আমাদের উন্নয়নকাজ চলাকালীন আগাম বৃষ্টি চলে আসায় সৃষ্টি হয়েছে। এবারের বন্যায় দলদলি বাগানের টিলা ধসেছে। যার ফলে পলি এসে আমাদের ড্রেন ভরে গেছে। আমাদের যে ছড়া-খাল বা ড্রেনের গভীরতা ছিল, একটানা বর্ষা মৌসুমে আমরা এগুলোতে কাজ করতে পারিনি। কারণ, বন্যা ছিল, বৃষ্টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের একটু সচেতনতার অভাব আছে। বাড়িতে যতো আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোষক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্যতা, সেটাও পেয়েছে লোপ । তারপরে আমাদের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করি রাত ১২টার পরে। সেদিন যে বৃষ্টি হলো, রাত ১১টা থেকে। আমাদের কর্মীরা তখন কাজ শুরু করেনি। তখন পথচারীরা বা ব্যবসায়ী ভাইয়েরা যেসব পলিথিন-টলিথিন রাস্তায় ফেলেছিলেন, সব গিয়ে ড্রেনের ছিদ্রগুলো ব্লক করে দেয়। পানি তখন কাটতে (নামতে) পারেনি। একদিকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে ব্লকের কারণে ড্রেন দিয়ে নামতে পারেনি পানি। পানিবদ্ধতা হওয়ার এটা অন্যতম কারণ।’
আরিফ বলেন, ‘বন্যার পরপরই কোরবানির ঈদ চলে এলো। ফলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমাদের দুর্ভাগ্য, যদি পয়েন্টে পয়েন্টে বা আমাদের ড্রেনগুলোতে যে ময়লা জমছিল, সেগুলো যদি আমরা পরিষ্কার করে ফেলতাম, তাহলে শহরের অনেক জায়গায় পানি ওঠতো না বলে বিশ্বাস। আমরা আসলে এতো বেশি বৃষ্টি হবে, এটা চিন্তা করিনি |
মাগার শত শত কোটি টাকা কই গেল রে ! সিলেটে এতো বেশি বৃষ্টি হবে, চিন্তা করেননি সিসিক মেয়র আরিফ
সিলেট ব্যুরো:’
গত শনিবার রাতে এক ঘন্টার টানা অতি বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয় সিলেট নগরীতে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অপরিকল্পিত উন্নয়ন সহ তার মদদপুষ্ট ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের লুটপাটের অভিযোগ উঠে। এতে আগুনে ঘি ঢালেন সিসিকের ৪ বারের কাউন্সিলর সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েছে লোদী। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে লিখেন, ‘‘নগরীতে বন্যা নাই, সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর মেইন রোড গুলোতে এমন পানি পুরাই হাস্যকর। মাগার শত শত কোটি টাকা কই গেল রে ’’। অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নে নাকাল নগরবাসী,শত শত কোটি টাকার খরচ করে সুন্দর রাস্তা ও লাইটিং শুধু উন্নয়ন নয় ফ্যাক্ট: সামান্য বৃষ্টিতে সিলেট শহরে জলাবদ্ধতা।’’ এতে তোলপাড় ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেব্যে ৮টি স্ট্রাইকিং টিম গঠনের কথা জানিয়েছেন মেয়র। পানিবদ্ধতা ঠেকাতে কাজ করবে এসব টিম।
নগর ভবনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে নিজের বক্তব্যে ৮টি স্ট্রাইকিং টিম গঠনের কথা জানান মেয়র আরিফ। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে প্রবল বর্ষণের কারণে সিলেট নগরীর প্রায় সব এলাকা নিমজ্জিত হয়। যে কারণে আমাদের অনেকের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিমজ্জিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আবহাওয়ার বিরূপ কারণে প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই সমস্যা।’ ‘গত শনিবার দিনে অস্বাভাবিক তাপদাহের পর রাতে অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে আকস্মিক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। সেই দুর্ভোগের শিকার আমি নিজেও। যদিও আমার বাসা নগরীর মধ্যভাগে উঁচু এলাকায়। শনিবার রাতে ১১টা ২ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৮ মিনিটে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ওইদিন মোট ৬ ঘন্টায় ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। যা সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে কম সময়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড। এটিকে অতিপ্রাকৃতিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।’ মেয়র আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তাৎক্ষণিক সচেষ্ট হই আমরা। আবহাওয়া অফিসের আগাম সতর্কবার্তায় এই অতিপ্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে, সেদিক বিবেচনায় আমরা সিসিকে জরুরি সভার আয়োজন করেছি। আমাদের করণীয় নির্ধারণ করেছি এরইমধ্যে। দিন কিংবা রাত, যেকোনো সময় অতিবৃষ্টি শুরু হলে আমাদের ৮টি স্ট্রাইকিং টিম পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমিসহ সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ মাঠে থাকবো ইন শা আল্লাহ!’
মেয়র আরিফ বলেন, পানিবদ্ধতার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে, তা স্বীকার করতে আমার কোনো অসুবিধা নাই। এবারে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা ছিল, দুই মাস আগে বৃষ্টি শুরু হবে। বঙ্গবীর রোডে যে জলাবদ্ধতা, তা আমাদের উন্নয়নকাজ চলাকালীন আগাম বৃষ্টি চলে আসায় সৃষ্টি হয়েছে। এবারের বন্যায় দলদলি বাগানের টিলা ধসেছে। যার ফলে পলি এসে আমাদের ড্রেন ভরে গেছে। আমাদের যে ছড়া-খাল বা ড্রেনের গভীরতা ছিল, একটানা বর্ষা মৌসুমে আমরা এগুলোতে কাজ করতে পারিনি। কারণ, বন্যা ছিল, বৃষ্টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের একটু সচেতনতার অভাব আছে। বাড়িতে যতো আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোষক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্যতা, সেটাও পেয়েছে লোপ । তারপরে আমাদের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করি রাত ১২টার পরে। সেদিন যে বৃষ্টি হলো, রাত ১১টা থেকে। আমাদের কর্মীরা তখন কাজ শুরু করেনি। তখন পথচারীরা বা ব্যবসায়ী ভাইয়েরা যেসব পলিথিন-টলিথিন রাস্তায় ফেলেছিলেন, সব গিয়ে ড্রেনের ছিদ্রগুলো ব্লক করে দেয়। পানি তখন কাটতে (নামতে) পারেনি। একদিকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে ব্লকের কারণে ড্রেন দিয়ে নামতে পারেনি পানি। পানিবদ্ধতা হওয়ার এটা অন্যতম কারণ।’
আরিফ বলেন, ‘বন্যার পরপরই কোরবানির ঈদ চলে এলো। ফলে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমাদের দুর্ভাগ্য, যদি পয়েন্টে পয়েন্টে বা আমাদের ড্রেনগুলোতে যে ময়লা জমছিল, সেগুলো যদি আমরা পরিষ্কার করে ফেলতাম, তাহলে শহরের অনেক জায়গায় পানি ওঠতো না বলে বিশ্বাস। আমরা আসলে এতো বেশি বৃষ্টি হবে, এটা চিন্তা করিনি |
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।