Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা। এসময় তারা বলেন, অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান। আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গাদের বিষয় সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যও সরকারের প্রতি আহŸান জানান। গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আইনজীবী বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন। আইনজীবী সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এদিকে বিকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য গায়েবানা জানাযা নামায আদায় করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা।
বাংলাদেশস্থ ওই দেশের দূতাবাস ঘেরাওয়ের দাবি জানান সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবীরা। মানবিক কারণে নির্যাতিত উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ারও আহŸান জানান তারা। একইসঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সাং সূচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।
সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, যারা সব সময় শান্তির কথা বলেন, তারা আজ কোথায়? বিশেষ করে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। আইনজীবীরা সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। তাই আমরা কর্মসূচি পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে সরকার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। আমরা চাই সরকার আরো জোরালো ভূমিকা পালন করবে। সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে তা মানবাধিকারের চরম লংঘন। সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমি বলব কিছু কিছু সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ না নিয়ে আরো কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বলে কথা নয়, সবার উপরে মানবতা। জীব হত্যা মহাপাপ, কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিম স¤প্রদায়ের এমন কেন হচ্ছে যেখানে হাজারো আর্তনাদ দেখতে পাই। সেখানে সন্তানের লাশ নিয়ে মাকে আহাজারি করতে হচ্ছে। এসব দৃশ্য জাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এসময় অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, সমিতির উদ্যোগে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে যে কতজনকে হত্যা করা হয়েছে, কতজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এসব নির্যাতনের দায়ে অং সান সুচিকে প্রধান আসামী করে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। এছাড়াও এমনেস্টিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করে নির্যাতন বন্ধের দাবি জানাতে হবে। এজন্য সরকারকে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, আইনজীবী নেতা আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
গায়েবানা জানাযা: মিয়ানমারে নিহত মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য গায়েবানা জানাযা নামায আদায় করেছেন আইনজীবীরা। বাদ আছর সুপ্রিমকোর্টের ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল জানাযা নামাজের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম জুলফিকার আলী জুনু। জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক হোসেনসহ প্রায় তিনশ’ আইনজীবী। পূর্বঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে জানাযা নামাজের আয়োজন করেন আইনজীবীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ