পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে দেশব্যাপি আজ মঙ্গলবার ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে শিশুদের টিকা নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আগামী আগস্ট মাসে ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের করোনার টিকার আওতায় আনা হবে। ৫ থেকে ১২ বছরের দুই কোটি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি শিশুকে প্রথমে টিকার আওতায় আনা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ ধরনের এ টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
এ ছাড়া তারা তিন কোটি দেয়ার কথা বলছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরে টিকা কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কিছুটা দেরি হওয়ার কারণ হলো আমরা এখনও নিবন্ধন তালিকা পাইনি। এছাড়া আমাদের টিকা পেতেও একটু সময় লেগেছে। কিছু টিকা আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। এর বাইরে আরও তিন কোটি টিকা আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়ার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন তালিকা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আবারও তাদের সঙ্গে বসব। নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যদি তারা তাড়াতাড়ি করতে পারে, আমরাও তাড়াতাড়ি শুরু করে দিতে পারব। নিবন্ধন ছাড়া আমরা টিকা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী মাসেই শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারব।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বেপরোয়া হয়ে গেছি। মাস্ক পরছি না। স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। আমরা বেখেয়ালি হবো, কিন্তু মারা যাবো না; তা তো হবে না। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা শূন্য দশমিক পাঁচে নেমে আসছিল। কিন্তু এরপর দেখলাম, সংক্রমণ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। একদিনে ১২, ৯, ২, ৩- এভাবে মানুষ মারা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক সব অনুষ্ঠান করছি। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। অফিস-আদালতে, পরিবহনে মাস্ক পরছি না। কেউ স্বাস্থ্যবিধি ভ্রুক্ষেপ করছে না। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সচেতনতার পাশাপাশি টিকা দিচ্ছি। আমরা টিকা নিয়ে বসে আছি। জনগণকে টিকা নিতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মানুষ যেভাবে নিয়েছিল, সেভাবে বুস্টার ডোজ নেয়নি। আমরা মানুষকে আহ্বান করবো, বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্যই ক্যাম্পেইন শুরু করছি। তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন, তাদের বেশিরভাগ টিকা নেয়নি। টিকা নেওয়া যারা মারা গেছেন, তাদের অনেকে অন্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিকে ডেঙ্গু প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সারা দেশে ১৪শ রোগীর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ১৩শ’ রোগী রয়েছে। যা দেশের মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের ৯৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী কোথা থেকে আসছে, তা আমরা জরিপ করছি। কোন জায়গা থেকে কত রোগী আসছে, তা দেখা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হয়েছে। এখানেই মশা বেশি জন্মাচ্ছে। সারা দেশের ১৪শ’ রোগীর মধ্যে ঢাকায় রোগী ১৩শ’র মতো (৯৩ শতাংশ)। ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য না। এ সময় সবাইকে বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক প্রশাসন প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম, পরিচালক প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম, প্রফেসর ডা, মাজহারুল হক তপন, ডা. মিজান আরিফ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।