Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোপা আমনের বীজতলা নিয়ে বিপাকে কৃষক

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২২, ১২:০৫ এএম

আষাঢ়ের ৩০ দিন পার হলেও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নাটোরের লালপুরে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজতলায় ধানের বীজ রোপন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এখানকার কৃষকরা। সঠিক সময়ে বীজতলায় ধানের বীজ রোপন করতে না পারলে রোপা আমন ধানের চাষ ব্যাহতের হতে পারে বলে আশঙ্খা করছেন কৃষকরা।

কিছু জমিতে কৃষকরা বৃষ্টির বিকল্প হিসেবে সম্পূরক সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করলেও অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় রোপা আমনের বীজতলাগুলো ফেটে যেতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় নিয়মিত সম্পূরক সেচ দিয়েও তেমন উপকার পাচ্ছে না চাষিরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাঠেই রোপা আমনের বীজতলা তৈরির জন্য কৃষকরা জমি পরিস্কার ও জমির আইল বেঁধে রেখেছে। সময়মত প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে বীজতলায় ধানের বীজ ফেলতে পারছেনা কৃষকরা। বীজতলায় ধান রোপনা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের ধান চাষিরা।

উপজেলার স্থানীয় ধান চাষিরা বলছেন, বৃষ্টির উপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের প্রায় ধানচাষিরাই বর্ষা মৌসুমে রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে। এবার আষাঢ় মাস শেষ হতে থাকলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বীজতায় সময়মত ধান রোপন সম্ভব হচ্ছেনা। অনেক কৃষক সম্পূরক সেচ দিয়ে বীজতলায় ধান বীজ রোপন করলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বার বার বীজতলায় সম্পূরক সেচ দিতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে চাষিদের। ফলে রোপা আমন চাষ নিয়ে অনেকটাই আশঙ্কায় দিন কাটছে এ অঞ্চলের কৃষকদের।

ধান চাষি আতিকুর রহমান, হাসিবুল ইসলাম ও আবুল কালাম বলেন, এখন বীজতায় চারা তৈরির সময়। কিন্তু সময়মত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মাটিতে রস না থাকায় মাটি ফেটে যাচ্ছে। সময়মত বীজতলায় ধান রোপন করা যাচ্ছেনা। ফলে রোপা আমন ধান চাষ বিলম্ব হচ্ছে। মাঠে পানি না থাকার কারনে বৃষ্টির পানি ছাড়া বিকল্প হিসেবে সেচ পাম্প দিয়ে জমিতে পানি দিয়েও তেমন লাভ হচ্ছে না বলে জানান ধান চাষিরা।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, এবছর উপজেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বীজতলা তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যে সকল বীজতলার পানি শুকিয়ে গেছে সে সকল জমিতে প্রয়োজনীয় সম্পূরক পানি সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ