পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দাবি করেছেন, বিদ্যুৎসংকট মোকাবিলা করার জন্য সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়নি।এগুলো করেছে রিজার্ভে টান পড়েছে তাই। রিজার্ভে টান পড়ার কারণে সরকার তেল, গ্যাস আমদানি করতে পারছে না। যার ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হলে আমদানিও কম লাগবে, সেজন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন সত্ত্বেও কেন এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্তে আসতে হলো সরকারকে, এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকার এতো ঢোল পেটাল সিঙ্গাপুর, ব্যাংকককে ছাড়িয়ে গেছি আমরা, সেই রিজার্ভ এখন কোথায়? হঠাৎ করে নাই হয়ে গেল কেন? আজকে দেশ অর্থনৈতিক ক্রাইসিসে দাঁড়িয়ে গেছে এবং এটার জন্য আমি পুরোপুরি সরকারকে দায়ী করি।
টুকু বলেন, এই সিদ্ধান্ত কেন এল? আমরা যখন শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি, তারপরও কেন এই সিদ্ধান্তে আসতে হচ্ছে? আগে লোডশেডিংয়ে মানুষকে পে করতে হয়নি, এখন মিউজিয়ামে যাওয়া লোডশেডিংকে ফেরত এনে পে করতে হচ্ছে। লোডশেডিং সত্ত্বেও কেন মানুষকে পেমেন্ট করতে হচ্ছে, সেটিই বড় প্রশ্ন।
সরকারের পরিকল্পনায় বলা ছিল ৬৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন থাকবে সরকারের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর ৩৬ শতাংশ থাকবে বেসরকারি হাতে। সরকার তড়িঘড়ি করে বেজ প্লান্টগুলো বেসরকারি সেক্টরে দিয়ে দিল। সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি এই পরিকল্পনা ছিল খারাপ, দূরভীসন্ধিমূলক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। শতভাগ বিদ্যুতের দেশ বলে হাতিরঝিলে অনেক ফানুস উড়ল, কিন্তু আজকে এসে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন সরকারের হাতে রাখার দরকার ছিল বলে মনে করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, সরকার যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করত তাহলে আজকের পরিস্থিতিতে পড়তে হত না। অন্ধকারে থেকে পেমেন্ট করতে হচ্ছে, যেটি অতীতে দিতে হয়নি। দুর্নীতিপুষ্ট প্রকল্পগুলো করে, আনন্দ-ফূর্তি করে সরকার সবাইকে দেখানোর চেষ্টা করছে।
বিএনপি সরকারের পরিকল্পনা ছিল ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন প্রাইভেট সেক্টরকে দিয়ে দেবে উল্লেখ করে টুকু আরও বলেন, সরকারের কাজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের বিল তোলা না। কিন্তু এরা উল্টোটা করেছে, বিদ্যুতের প্লান্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাইভেট সেক্টরকে। লস অ্যাসেসমেন্ট না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, এখন সেই ফল ভোগ করতে হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।