Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বেচ্ছাশ্রমে কয়রায় কপোতাক্ষের ভাঙন ঠেকাতে রিংবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২২, ৪:৫৪ পিএম

খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিংবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ জুলাই) কালের ভাটি থেকে দুপুরের জোয়ার পর্যন্ত এলাকাবাসী রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। এ কাজে নের্তৃত্ব দেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মশিউল আবেদিন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে মানুষ প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে পেরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। পানি আটকানোর পর মূল ক্লোজারে কাজ করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন যেন কয়রার মানুষের পিছু ছাড়ছে না। যখনি কয়রার মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখন আবার কোন না কোন জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। প্রাথমিক ভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এলাকার শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিং বাঁধ নির্মাণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিংবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত এলাকা ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরণের সহায়তা দেবে উপজেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৭ জুলাই) ভোরে কপোতাক্ষ নদীর ভাটির টানে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (১৪/১) পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর-বাড়ী সহ কয়েক হাজার বিঘা মৎস্য ঘের।

এদিকে, বাঁধ মেরামত ও সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বাঁধ না ভাঙলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঘুম ভাঙে না উল্লেখ করে দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুবসংঘের সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, একবার বাঁধ ভাঙলে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তলিয়ে যায়। অবকাঠামো নাজুক হয়ে পড়ে। বাঁধ ভাঙলে সংস্কার করা হয়, ভাঙার আগে বারবার বলা সত্ত্বেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের অন্তত তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

কয়রা উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জরুরী কাজের নামে যে কয়টি বাঁধ মেরামত করা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিই আম্পানের আঘাতে ভেঙে গেছে। কয়রায় আসলে বেড়িবাঁধে জরুরি কাজের নামে সব সময় অর্থ লুটপাট হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ