পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না। আমরা সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই।
গতকাল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন-বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচন কমিশন সংলাপে বসছেন, নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এবং ৩১ জুলাই কমিশনের সাথে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ডাকে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করা সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকারের পরিবর্তন চান, তাদেরকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেবে, এমন প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হিসেবে দেখতে চাই। সে কারণে নিবন্ধিত সবার অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় আরও উন্নতি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা আরও আধুনিক-মানসম্মত করা হবে। বর্তমান ব্যবস্থাও একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, বিরোধী দলের কেউ কেউ বারবার একথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হবে, এখানে সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে কমিশনকে। তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারের কোনও সংস্থা বা দফতর নির্বাচন চলাকালে, সরকারের নির্দেশে চলবে না, চলবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশা করে বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যে রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান করেছেন, সেখানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
এর আগে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। তিনি বলেন, বিআরটিসি লাভের ধারায় ফিরে এসেছে, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বিআরটিসি সরকারের যেন বোঝা না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।