Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজার আদালতে সাক্ষ্য দিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

কক্সবাজারের একটি আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আদালত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। টেকনাফের আব্দুল করিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন লিয়াকত আলী। তিনি যখন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন তখন ওই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। গত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে লিয়াকত আলী ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। গতকাল ওই মামলায় সাক্ষী দেয়ার জন্য তাকে কক্সবাজার আনা হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, গত ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট টেকনাফ থানায় দায়ের হওয়া বাহারছড়া উনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকায় আব্দুল করিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন লিয়াকত আলী। তিনি ওই মামলার ৬ জন আসামির জবানবন্ধী গ্রহণ করেছিলেন। মামলায় নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য দিতে সকাল ১০টায় পুলিশের কড়া পাহাড়ায় প্রিজনভ্যানে লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল। এতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আদেশের পর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়। টেকনাফের আব্দুল করিম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিয়াকত আলীকে গত শনিবার কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। সেখান থেকে গত রোববার বিকালে তাকে আবারো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ