নাটোরের গুরুদাসপুর জামে মসজিদের জুম্মার নামাজ আদায় করার বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক একই পরিবারের তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত গোলাপ রাব্বানীকে গত শনিবার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলা পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির চাচাত ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলা পৌর সদরের আনন্দনগর পুরাতন জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করার বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ওই মহল্লার বাবলু সরদার, আবু সরদার, আজাদ প্রাং, আজিজ প্রাং, আশিক হোসেন, আজিম হোসেনসহ প্রায় ৫/৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি হাতে ধারালো দেশিয় অস্ত্র নিয়ে গোলাপ রাব্বানী, দুলাল সরদার ও রমিজ সরদারকে অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলা করার পর পরই তিন জন্য রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পরে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হামলার শিকার গোলাপ রাব্বানীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকি দুই জন বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত তিন ব্যক্তির ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, আনন্দনগর মহল্লায় পুরাতন মসজিদে তারা সকলেই নামাজ পড়েন। সেই মহল্লায় নতুন আরো একটি মসজিদ হয়েছে। সেই মসজিদে নামাজ না পড়ার কারণে এই হামলা চালানো হয়। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বিকার করে বাবলু সরদার মুঠোফনে জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।