Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও বিপৎসীমার ওপরে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ৫:২৭ পিএম

পূর্ণিমার ভরা কাটাল কেটে যাওয়ায় ফুসে ওঠা সাগর কিছুটা শান্ত হবার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে। গত ৪৮ ঘন্টায় মেঘনা, তেতুলিয়া, বুড়িশ^র, বলেশ^র, কঁচা, কির্তনখোলা, বিষখালী ও পায়রা সহ সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের আমন বীজতলা সহ বিপুল ফসলী জমি প্লাবনের আশংকা মূক্ত হতে করেছে। তবে এবার ভরা আষাঢ়ের মত শ্রাবনেও দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতে সব ধরনের ফসল ঝুকির মুখে রয়েছে। আমন বীজতলা তৈরী সহ রোপন পরবর্তি পরিচর্জাও ব্যাহত হওয়ায় আবাদ ও উৎপাদন নিয়ে যথেষ্ঠ অনিশ্চয়তা কাজ করছে কৃষকদের মাঝে।
আষাঢ়ের পূর্ণিমার ভরা কাটালে গত দু সপ্তাহ যুড়েই দক্ষিণাঞ্চলের মাঝারী থেকে বড় নদ-নদীগুলো বেশীরভাগ এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে দুকুল ছাপিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পূর্ণিমা কেটে যাবার পরে শুক্রবার রাতেই সাগর শান্ত হওয়ায় শণিবার সকাল থেকে উপক’ল ভাগ সহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সবগুলো নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ পারিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরিশালের কির্তনখোলা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। ভোলা খেয়াঘাটের তেতুলিয়া নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিদৎসীমার সমান উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার দৌলতখানে মেঘনা ও সুরমা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তজুমদ্দিনেও সুরমা-মেঘনা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ঝালকাঠীতে বিষখালী নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে । পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ^র ও পায়রা নদীর পানি দশমিক ২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপৎসীমার দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীও আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পাথরঘাটার বিষখালী নদী আগের দিনের সমান উচ্চতায় প্রবাহিত হলেও তা বিপৎসীমার দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ওপরেই প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ^র নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২ সেন্টিমার হ্রাস পেলেও বিপৎসীমার ছুই ছুই উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে উমেদপুরে কঁচা নদীর পানিও আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও এখনো বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরেই প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পূর্ণিমার ভরা কাটাল চলে যাওয়ায় ফুসে ওঠা সাগর কিছুটা শান্ত হবার সাথে উজানের পানি গ্রহন করতে শুরু করেছে। ফলে সোম থেকে বুধবারের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের ফসলী জমি প্লাবন মূক্ত হবে বলে আশা করছে ওয়াকিবাহাল মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ