Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যক্তিগত আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেন অনন্ত জলিল

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ৪:২৬ পিএম

দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিক্যাল দিক থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। বিদেশের সিনেমার মতো অ্যাকশন তার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অনন্ত জলিল। দীর্ঘ আট বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন এ চিত্রনায়ক। ঈদ উপলক্ষে (১০ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’। ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

বাংলাদেশ, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান এই চার দেশ মিলিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় উঠে এসেছে রোমহর্ষক সব প্রেক্ষাপট। সিনেমাতে অনন্ত ছাড়াও আছেন তার স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা বর্ষা। অনন্ত জলিল শুধু অভিনেতাই নন সাথে একজন স্বনামধন্য ধনাঢ্য ব্যবসায়ীও। গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতি বছর সেরা করদাতাদের তালিকায় তার নাম উপরের দিকেই থাকে। এছাড়া তিনি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।

অনন্ত জলিল কত টাকার মালিক? এমন প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ী অভিনেতা হেসে দিয়ে বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্টে ৫-১০ হাজার টাকা আছে কী না আমি জানি না। কারণ, আমি কখনো সেভিংস করি না।’

অনন্ত জানান, ‘আমার সেক্রেটারি বনাম বডি গার্ড সাজ্জাদের কাছে একটা ক্রেডিট কার্ড সবসময়ই থাকে। সকাল বেলা ও টাকা উঠায় নিয়ে আসে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সেগুলো মানুষকে দিয়ে যাই। আবার ফ্যাক্টরিতে যখন যাই, অ্যাডমিন লিস্ট করে রাখে, সাইন করে দেই। অ্যাকাউন্টে যে টাকা থাকে ওদেরকে দেয়। আবার পরের দিন সকালে রুটিন ওটাই থাকে। আসলে ব্যক্তিগত কোনো সেভিংস আমি কখনোই করি নাই।’

অনন্ত বলেন, ‘আমার ফ্যামিলিও আমাকে বলে যে, আরিজ-আবরারের (দুই ছেলে) কথা চিন্তা করেও তো দুই একটা ডিপোজিট করা যায়। আমি একটাই কথা বলি, আমার বাবা তো আমাদের জন্য ডিপোজিট করেন নাই। আমার বাবা আমার প্রতি ইনভেস্ট করেছেন, আমাকে শিক্ষিত করেছেন। আমার জন্য বেস্ট চিন্তা করেছেন। ম্যানচেস্টারে পাঠিয়েছেন বিবিএ করতে। বাংলাদেশে পড়াশোনা করিয়েছেন। তারপর আমার উপরে ছেড়ে দিয়েছেন আমি কী করতে চাই।'

অভিনেতার প্রশ্ন, ‘তাহলে আমাকে কেন আমার বাচ্চাদের জন্য সেভিংস করে দিয়ে যেতে হবে? ওরা তো ভাড়া বাসায় থাকবে না। ওদের তো বাড়ি আছে। তারপর যদি নিজেরা কিছু করতে না পারে, তার জন্য তো আমি দায়ী না। পড়াশোনা করানো পর্যন্ত আমার ডিউটি। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য আমার বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা রেখে যেতে হবে, এটা আমার দ্বারা সম্ভব না। এটা আমি করতে পারব না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ