Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাপদাহের মধ্যেই বরিশালে ১০ নদীর পানি উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ১০:৩৩ এএম

আষাঢ় যাই যাই করছে। বৃষ্টির অবস্থা এই আছে এই নেই। তবে আছে একটানা তাপদাহ। তারওপর পূর্ণিমার প্রভাবে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানির চাপে নদীর তীরের বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই চিত্র বরিশাল বিভাগের সর্বত্র। ফলে নদী উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। প্লাবিত হয়েছে উপকূলের গ্রামের পর গ্রাম। ফেরির আশপাশের এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আচমকা এই বিপর্যয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। পানিমগ্ন এলাকাগুলোতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাষাবাদে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বেশিরভাগ জমিতেই পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আমন ধানের বীজতলা এবং সবজি।

উপকূলের পরিস্থিতি
সম্প্রতি সিলেটের টানা বন্যা আর দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই এলাকার জলাধারগুলো ভরে গিয়েছিল। কয়েক দিন আগে বৃষ্টি কমলেও পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। সেই পানি পৌঁছায় উপকূলে। তাতেই প্রথমে উপচে পড়ে চাষের জমি, পরে বেশ কিছু গ্রাম পানিমগ্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আচমকা গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন। শুক্রবার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। শনিবারও এলাকাগুলো জলমগ্ন থাকায় অনেকেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। সাগর তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকার রাস্তা পানির তলায় চলে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।
উপকূলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধান চাষের ওপর উপকূলের অর্থনীতি নির্ভর করে। এমনিতেই শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না মেলায় পানির সংকট তৈরি হয়েছিল। ফলে বীজতলা তৈরির কাজ দেরিতে শুরু করেন চাষিরা। বীজতলায় সবেমাত্র চারাগাছ উঁকি দিয়েছে। এই অবস্থায় জমি পানিমগ্ন হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ বীজই পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
চাষিদের দাবি, নতুন করে বীজ ফেলে ফের বীজতলা তৈরি করতে লেগে যাবে দীর্ঘ দিন। সেক্ষেত্রে সময়ে চাষ শুরু করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। পাথরঘাটার রুহিতা গ্রামের ধানচাষি শফিক মাঝি বলেন, জুনের শুরুতেই বীজ ফেলা হয়। এবার পানি না মেলায় এমনিতেই বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। এরপরে ফের নতুন করে বীজ ফেলে চাষ করা এক কথায় অসম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ